পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রাদেশিক নির্বাচনে বড় জয়ের পর, আগাম জাতীয় নির্বাচন দ্রুত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে রোববার ইমরানের দল পিটিআই ২০ আসনের মধ্যে ১৫টিতে জয় পেয়েছে।
এই ফলকে আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনে কী ঘটতে পারে, তার পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইমরান খানকে। তারপর বিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় আসেন পিএমএল (এন) প্রধান শাহবাজ শরিফ।
পাঞ্জাবের প্রদেশিক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের দল মাত্র ৪টিতে জয় পেয়েছে। একটিতে জয় পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
পাঞ্জাব পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ। দীর্ঘদিন শাহবাজ শরিফ এবং তার বড় ভাই তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএলের (এন) শক্ত ঘাঁটি ছিল এটি। টানা ১১ বছর প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন শাহবাজ শরিফ।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কয়েকটি সমাবেশ করেছিলেন ইমরান খান। সেসবে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছিল সাধারণ জনগণের কাছ থেকে। সবশেষ পাঞ্জাবের মতো প্রদেশে জয়কে আগাম জাতীয় নির্বাচনে ইমরানের শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সাবেক ক্রিকেট তারকা সোমবার টুইট লেখেন, ‘এখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন।’
‘অন্য কোনো উপায় কেবল রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আর অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার দিকে দেশকে নিয়ে যাবে।’
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, পাঞ্জাবের ভোটাররা দেশের নেতাদের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চেয়েছিলেন। আর তা হলো অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
ইমরান খানের প্রশাসন থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বৈদেশিক ঋণের বোঝা নিয়ে সরকার চালাচ্ছে শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। এ সংকট কাটিয়ে উঠতে সবকিছুর দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার।