রাশিয়ায় উৎপাদিত কৃষি ও চিকিৎসাপণ্য আমদানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ।
বাংলাদেশে দেশটির দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো একটি ফ্যাক্ট শিটের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘আমেরিকা রাশিয়া ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট সারসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন, বিক্রয়, পরিবহন, কৃষি খাতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ অথবা ওষুধের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। বরং কৃষিপণ্য, কৃষি যন্ত্রাংশ, ওষুধ এবং চিকিৎসা খাতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে লেনদেনের সুবিধার্থে ট্রেজারি বিভাগের ফরেইন অ্যাসেট কন্ট্রোল জেনারেল লাইসেন্স ইস্যু করেছে।’
রাশিয়ায় উৎপাদিত বা রাশিয়া হয়ে আসা সারের ক্ষেত্রেও কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বলেও জানানো হয়েছে।
গত ২৪ এপ্রিল সাবেক রুশ ফেডারেশনভুক্ত ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেন পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে। তারা পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছিল।
এই পরিপেক্ষিতে রুশ অভিযানের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার ওপর জারি হয় অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। এর আওতায় জ্বালানিও আছে। তবে ইউরোপ আবার রাশিয়ার গ্যাসের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। ইউরোপের দেশগুলোও এই নিধেধাজ্ঞা মানছে না। রাশিয়া থেকে তেল কিনছে ভারতও।
রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে বিশেষ করে গম কিনে থাকে বাংলাদেশ। বিপুল পরিমাণ সারও আমদানি হয় রাশিয়া থেকে। যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম অনেকখানি বেড়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশ ভীষণভাবে চিন্তিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে গিয়ে সারা বিশ্বকে কষ্ট দেয়ার মানে হয় না।
যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের এই উদ্বেগ লাঘবে সহায়তা করবে। এতে বলা হয়, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের শস্য বিশ্ববাজারে আনার পাশাপাশি যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের খাদ্যপণ্যের সরবরাহ ও দাম ঠিক রাখতে জাতিসংঘের নেয়া উদ্যোগকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। কৃষি এবং চিকিৎসা খাতের ব্যবসা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু নয়।’
তবে রাশিয়া থেকে মাছ ও সি ফুড আমেরিকায় আমদানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া আছে বলে জানানো হয় দেশটির পক্ষ থেকে। এও বলা হয়, আমেরিকার বাইরে অন্য কোনো দেশে এই পণ্যগুলো আমদানির ক্ষেত্রে বাধা নেই।