ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য কনজারভেটিভ পার্টির পাঁচজন প্রতিযোগী রবিবার একটি দ্বিতীয় টেলিভিশন বিতর্কে অংশগ্রহণ করবেন। তারা ট্যাক্স নীতি ও ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে আবার এই বিতর্কে অংশ নেবেন।
ধারাবাহিক কেলেঙ্কারির পর পদত্যাগ করা বরিস জনসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার লড়াই চলছে। এটি অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ৩৫৮ জন আইন প্রণেতাদের কাছে পছন্দের তালিকায় রয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে দুজনকে চূড়ান্ত করতে এই সপ্তাহে তারা ভোট দেবেন।
টেলিগ্রাফের এক জরিপে দেখা গেছে, কনজারভেটিভ পার্টির প্রায় অর্ধেক ভোটার ধারণা করছেন তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এবং জুনিয়র মন্ত্রী পেনি মর্ডান্টের চেয়ে একজন ভালো প্রধানমন্ত্রী হবেন।
ট্রাসেরও অনেক সমর্থকের মধ্যে জনসনের সবচেয়ে কাছের লোকও রয়েছেন। দুই লাখ সদস্যের জরিপে শীর্ষে রয়েছেন জুনিয়র মন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। এই সদস্যরা কনজারভেটিভ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করবেন।
শনিবার একটি প্রদর্শনীতে কনজারভেটিভ পার্টির ওয়েবসাইটে সদস্যদের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রাক্তন জুনিয়র মন্ত্রী কেমি ব্যাডেনোক এখনাে এগিয়ে রয়েছেন।
বুকমেকারদের জরিপে ট্রাস দ্বিতীয় এবং মর্ডান্টে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
শুক্রবার প্রথম টিভি বিতর্কে সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান পর টম তুগেনধাত দর্শকের জরিপে শীর্ষে ছিলেন।
তবে যিনিই পদ গ্রহণ করুক, রকেটিং মুদ্রাস্ফীতি ও নিম্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে কাজ করবেন। জনসনের সব কেলেঙ্কারির পর রাজনীতিতে জনগণের আস্থার তৈরি করবেন।
তাছাড়া জনমত জরিপও বলছে, কনজারভেটিভ পার্টি বিরোধী লেবার পার্টির থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
রক্ষণশীল আইনপ্রণেতারা সোমবার আরেকটি নির্বাচন করবেন। সেখানে সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হবে। চূড়ান্ত দুজনকে ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বেছে নেওয়া হবে।
এরপর পার্টির সদস্যরা বিজয়ীকে ভোট দেবেন, যাকে ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে।
অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন। একযোগে দুই মন্ত্রী পদত্যাগে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভার বিদ্রোহের মুখে বৃহস্পতিবার টোরি নেতা হিসেবে ‘জোরপূর্বক’ পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। যদিও উত্তরাধিকারী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান ৫৮ বছরের জনসন।