শিগগিরই স্থিতিশীল সরকার গঠন না হলে শ্রীলঙ্কা অচল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে।
বিবিসির অনুষ্ঠান নিউজনাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
সংকটে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে পর্যাপ্ত বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ পাওয়ার অগ্রগতি নির্ভর করছে স্থিতিশীল প্রশাসনের ওপর।
অর্থনৈতিক সংকটের জেরে বড় ধরনের অস্থিরতা চলছে শ্রীলঙ্কায়। চলমান পরিস্থিতির জন্য ক্ষমতাসীন রাজাপাকসে পরিবারকে দায়ী করে তাদের সরে যেতে দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যেই দেশ থেকে পালিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মালদ্বীপ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর গেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে যাওয়ার পরপরই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো কারফিউ জারি করেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।
শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি অবনতির মধ্যেই এপ্রিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন নন্দলাল। তিনি বিবিসিকে বলেন, স্থিতিশীল প্রশাসন ছাড়া প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে অর্থ পাওয়ার কোনো উপায় দেখছেন না তিনি।
‘সম্ভবত চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত ডিজেলের কমপক্ষে তিনটি এবং পেট্রলের এক বা দুটি চালানের অর্থ জোগাতে আমরা সক্ষম হয়েছি, তবে এর বাইরে দেশের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলের বিল পরিশোধে আমরা পর্যাপ্ত বিদেশি মুদ্রা পাব কি না, তা নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে’, বলেন নন্দলাল।
‘এমনটা না হলে (শ্রীলঙ্কা পর্যাপ্ত বিদেশি মুদ্রা না পেলে) গোটা দেশ অচল হয়ে পড়বে। আর এ কারণেই আমার প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রিপরিষদ দরকার, যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে...এটা ছাড়া সব মানুষ কষ্টে থাকবে’, যোগ করেন তিনি।