তিব্বতের স্বাধীনতা নয় বরং এ অঞ্চলের বৌদ্ধ সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছেন আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা। লাদাখ সফরে বৃহস্পতিবার এমন মন্তব্য করেন দালাই লামা।
২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার পর এটাই তার প্রথম সফর।
পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতার মধ্যে এই সফরটি চীনকে বিচলিত করতে পারে বলা ধারণা করা হচ্ছে।
দালাই লামা বলেন, ‘এখন আরও বেশি করে চীনারা বুঝতে পারছে যে দালাই লামা স্বাধীনতা চাইছেন না বরং চীনের মধ্যে তিব্বতীয় বৌদ্ধ সংস্কৃতি রক্ষার জন্য অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছেন।’
আধ্যাত্মিক নেতা বৃহস্পতিবার জম্মুতে পৌঁছানোর পরপর তাকে স্বাগত জানাতে ভিড় জমান শত শত মানুষ। শুক্রবার দালাই লামা লেহ যাবেন। সেখানে তার এক মাস থাকার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি দালাই লামার ৮৭তম জন্মদিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে ডেকে শুভেচ্ছা জানান। আর এতেই চটেছে চীন। বেইজিং বলছে, তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে দিল্লি।
জম্মু ও কাশ্মীরে সাংবিধানিক পরিবর্তন এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি দেয়ার সময়ও তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল চীন।
কয়েক মাস পর ২০২০ সালের এপ্রিলে চীনা সেনারা এলএসি বরাবর একটি সেনা সমাবেশ ঘটাতে শুরু করে পূর্ব লাদাখে ভারতীয় অঞ্চল দখলের চেষ্টা করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এই অঞ্চলে সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে জবাবও দেয়।
২০২০ সালের জুনে গালওয়ান উপত্যকার দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। ভারতের দাবি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অনেক চীনা সেনা। তবে বেইজিং জানিয়েছিল, তাদের কেবল দুজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
ওই ঘটনার পর থেকেই দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা চরমে। একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক চেষ্টায়ও মেলেনি সমাধান। কয়েক দিনের মধ্যে সামরিক কমান্ডাররা আরেক দফায় আলোচনায় বসবেন।