রুশ মিসাইল হামলায় তিন শিশুসহ কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর ভিনিশিয়ায় স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এ হামলা হয়।
ইউক্রেনের স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস বলছে, সকালে ৯ তলা একটি ভবনে মিসাইলগুলো আঘাত হানে। প্রায় ৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই শহরের আবাসিক ভবনগুলোতেও হামলা হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে একটি সাবমেরিন থেকে ছোড়া কালিব্র ক্রুজ মিসাইল দিয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে।
আঞ্চলিক জরুরি পরিষেবার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্থানীয় টিভিকে বলেন, হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ভবনটি। সেখানে যদি কেউ বেঁচেও থাকে, তবে তার সন্ধান মেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি একে ‘সন্ত্রাসবাদের প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রতিদিন বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করছে রাশিয়া। বেসামরিক স্থাপনা, এমনকি শিশুরা রেহাই পাচ্ছে না রুশ হামলা থেকে। তারা কোনো সামরিক স্থাপনায় হামলা করছে না। এটা সন্ত্রাসবাদের প্রকাশ্য কাজ না হলে কী?’
হামলাটি যখন হয় তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে একটি সম্মেলনের জন্য হেগে মিলিত হচ্ছিলেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা এই হামলাকে রাশিয়ার ‘আরেকটি যুদ্ধাপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের প্রতিটি রক্তের বিন্দু ও চোখের পানির জন্য রুশ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করব আমরা।’
ভিনিশিয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনীয় পপ গায়ক রোক্সোলানার কনসার্ট করার কথা ছিল। তবে হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে আয়োজন।
ইনস্টাগ্রামের পোস্টে রোক্সোলানা লিখেছেন, ‘ আমার দলের সবাই আহত হয়েছে। একজন মারা গেছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
‘নিহতদের প্রতি সমবেদনা। যারা বেঁচে আছে, তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা কখনই তাদের (রুশ বাহিনী) ক্ষমা করব না।’
এ ঘটনায় এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া। তবে অভিযানের শুরু থেকেই মস্কো দাবি করে আসছে, বেসামরিক নাগরিকরা তাদের লক্ষ্যবস্তু না।