বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কাকে সাহায্যের উপায় খুঁজছে ভারত

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২২ ১৮:৫৪

কেরালায় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল এবং জটিল। শ্রীলঙ্কার জনগণকে সমর্থন করতে আমরা প্রতিশ্রুত। কারণ তারা আমাদের প্রতিবেশী। তাদের মানসিকতা বন্ধুত্বপূর্ণ।’  

শ্রীলঙ্কার প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ‘দেশটির পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। কলম্বোকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করতে পারে এমন উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করছে নয়াদিল্লি।’

কেরালায় বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল এবং জটিল। শ্রীলঙ্কার জনগণকে সমর্থন করতে আমরা প্রতিশ্রুত। কারণ তারা আমাদের প্রতিবেশী। তাদের মানসিকতা বন্ধুত্বপূর্ণ।

‘এ কঠিন মুহূর্তে আমরা তাদের সাহায্য করতে চাই। বন্ধুত্বের অনুভূতির কারণে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। গত কয়েক মাসে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে অনেক সমর্থন দিয়েছি। আমাদের ফোকাস এখন শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কীভাবে তাদের সাহায্য করতে পারি তার ওপর।’

এর আগে রোববার জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে সহায়তা দিচ্ছে ভারত। দ্বীপরাষ্ট্রের উন্নয়নগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন সেখানে কোনো শরণার্থী সংকট নেই।’

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ফাইল ছবি

কলম্বো গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, জয়শঙ্করের মন্তব্যে এটা স্পষ্ট যে কীভাবে কঠিন সময়ে প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার এই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

“প্রতিবেশী প্রথম নীতি’-এর অধীনে, ভারত সংকট কাটিয়ে উঠতে শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধে জরুরিভাবে সাড়া দিয়েছে। অবকাঠামো সংযোগ এবং পুনর্বিকিরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সংযোগ বাড়াবে।”

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এর আগে জানিয়েছিলেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য দিয়েছে ভারত। এগুলো মুদ্রা অদলবদল, খাদ্যে অর্থায়ন এবং জ্বালানি, ওষুধ এবং সারের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে।’

ভারত যে ‘প্রতিবেশী প্রথম নীতি’-কে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে তা বোঝাতে অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, ‘ভারত দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করবে। তা অবকাঠামো সংযোগ এবং পুনর্বিকিরণযোগ্য শক্তির মাধ্যমেই হোক।’

সংকটের সময় পাশে দাঁড়িয়ে শ্রীলঙ্কা অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়েছে ভারত। করোনা মহামারি এবং সার ঘাটতির সময় দিল্লিকে পাশে পেয়েছিল কলম্বো। সে সময় দ্বীপরাষ্ট্রটিকে মৌলিক পণ্যও সরবরাহ করেছে ভারত।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে ডিজেলের ঘাটতিতে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকতে হচ্ছে লঙ্কানদের। সঙ্গে রয়েছে মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দাম। এই অবস্থায় মিত্র দেশগুলোর কাছে সাহায্যের আকুতি জানায় শ্রীলঙ্কা সরকার।

করোনা মহামারির কারণে দেশটির পর্যটনশিল্পে ধস নামে। এর প্রভাবে ঘাটতি দেখা দেয় বৈদেশিক মুদ্রায়। ফলে আমদানিনির্ভর দেশটি পর্যাপ্ত জ্বালানি ও গ্যাস কিনতে পারছে না। মৌলিক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জনগণ।

এ বিভাগের আরো খবর