বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্পিকারকে প্রেসিডেন্ট করতে সম্মত সর্বদলীয় নেতারা

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২২ ০৮:৪৪

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের দাবিও ওঠে প্রধান বিরোধী দল এসজেবি ও এসএলএফপিসহ সর্বদলীয় নেতাদের বৈঠকে।

চলমান বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মাঝে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়াপা আবিবর্ধনেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট করার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন সর্বদলীয় নেতারা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার দেশটির সর্বদলীয় নেতাদের জরুরি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের দাবিও ওঠে প্রধান বিরোধী দল এসজেবি ও এসএলএফপিসহ সর্বদলীয় নেতাদের বৈঠকে।

ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে যাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের পদে রনিল বিক্রমাসিংহে ও গোতাবায়া রাজাপাকসের ওপর পুরোপুরি আস্থা হারিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতারা।

বিরোধী দল এসজেবি ও এসএলএফপির নেতারা এর আগেও রনিল ও গোতাবায়াকে ব্যর্থ উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে সংকটময় এই সময় সবার কাছে গ্রহণযোগ্য স্পিকারকে শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব হাতে নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া টিয়ার শেলে আহত এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭৫ জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় একজন পুলিশ কর্মকর্তাও গুরুতর আহত হয়েছেন।

এদিকে ফ্লাওয়ার রোডে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছে সংঘর্ষে আহত ৪২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগে বুধবার সকালে বিক্ষোভের মুখে দেশটির পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে একটি সামরিক উড়োজাহাজে করে মালদ্বীপে আশ্রয় নিলেও সেখানে প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের তোপের মুখে পড়েন। এবার মালে থেকে তিনি সিঙ্গাপুরে যেতে পারেন বলে জানা গেছে।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেশটির সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।

এর আগে দেশটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এ ছাড়া দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাজধানী কলম্বোতেও কারফিউ বলবৎ থাকবে।

কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে চরম মন্দা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে, মুদ্রাস্ফীতিও আকাশছোঁয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ।

এ অবস্থায় ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে দেশটির সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। একপর্যায়ে রাজাপাকসে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়।

বিক্ষোভ দমাতে এপ্রিলের শুরুতে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এমন পদক্ষেপ বিক্ষোভ দমাতে ব্যর্থ হয়। উল্টো মাত্রা আরও তীব্র হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় মে মাসে পদত্যাগ করেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে।

এই পর্যায়ে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। নিহত হন এক এমপি। অনেক সাবেক মন্ত্রী-এমপির বাড়ি ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের পৈতৃক বাড়িও জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর