শ্রীলঙ্কার পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে আকাশপথে, সাগরপথে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে তার এ চেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য তিনি সম্প্রতি ভিসার আবেদন করেছিলেন। এবার শোনা যাচ্ছে, তার সে আবেদনও নাকচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকার এক শীর্ষ কর্র্মকর্তার বরাত দিয়ে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক ডেইলি মিররের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
গোতাবায়ার আগে শ্রীলঙ্কা এবং যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে একটি আইন মেনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছেড়ে দেন। ওই আইনে বিদেশি নাগরিকদের নির্বাচনে দাঁড়ানো নিষিদ্ধ ছিল।
কলম্বোর এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিক নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোতাবায়া যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদ আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।’
এর আগে গোতাবায়া দেশ ছেড়ে পালাতে সকালে বিমানবন্দরে যান। কিন্তু দেশটির ইমগ্রেশন অফিসারদের বাধায় তিনি যেতে পারেননি। আকাশপথে ব্যর্থ হয়ে তিনি নৌবাহিনীর জাহাজেও শ্রীলঙ্কা ছাড়ার চেষ্টা করেন।
গোতাবায়া স্ত্রীসহ দেশটির কলম্বোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে সামরিক ঘাঁটিতে ছিলেন। তিনি সোমবার রাতে সেখানেই ছিলেন। সেখান থেকেই মঙ্গলবার সকালে তিনি বিমানবন্দরে আসেন।
গোতাবায়া বন্দরনায়েকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে ভিআইপি স্যুটে অপেক্ষা করছিলেন। নিরাপত্তার জন্যই তাকে সেখানে রাখা হয়। এরপর তার পাসপোর্ট সিল মারার জন্য ইমিগ্রেশন অফিসারদের ভিআইপি স্যুটে যেতে বলা হয়। তারা গোতাবায়ার পাসপোর্টে সিল মারতে অস্বীকার করেন।
গোতাবায়া পরিবার নিয়ে সম্ভবত দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে শোনা গেছে।
এর আগে গোতাবায়া পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। সোমবারই তিনি পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে এরই মধ্যে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেছেন।
যদিও যে পদত্যাগপত্রে তিনি স্বাক্ষর করেছেন তার তারিখ দেয়া আছে ১৩ জুলাই, বুধবার।
এরই মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়াপা আবিবর্ধনে। তিনি আগামীকাল প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টি জনসমক্ষে জানাবেন।