শ্রদ্ধা ভালোবাসায় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন আবেগাপ্লুত নাগরিকরা।
এ সময় হাজার হাজার মানুষ টোকিওর রাস্তায় জড়ো হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তার মৃতদেহ বহনকারী গাড়িটি শহরের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জায়গা প্রদক্ষিন করে।
আবের শেষকৃত্য হয় প্রথমে জোজোজি মন্দিরে। যেখানে শুধু আবের বন্ধুবান্ধব এবং ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার প্রচারণা বক্তব্য দেওয়ার সময় ৬৭ বছর বয়সী এই নেতাকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ আবেকে হাসপাতালে নেয়ার পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
আবেকে সম্মান জানাতে টোকিও জুড়ে এবং মন্দিরের বাইরে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এ সময় রাস্তার দুটি ব্লকে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভক্তরা।
টোকিও শহরের নাগরিক এমি ওসা বলেন, ‘আমি এখানে ফুল দিতে এসেছি কারণ আমি মনে করি তিনি জাপানিদের গর্ব করার মতো অনেক কিছু দিয়েছেন।
একজন নারী বিবিসিকে বলেন, ‘কোভিডের প্রথম দিনগুলোতে দায়িত্বের সঙ্গে সংকট মোকাবেলা করেছেন তিনি।’
পার্লামেন্ট ভবনের দিকে যাবার আগে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সদর দপ্তর এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন পেরিয়ে আবের মৃতদেহ বহনকারী গাড়িটি যাবে। ১৯৯৩ সালে যেখানে তিনি প্রথম আইন প্রণেতা হিসেবে প্রবেশ করেন।
শিনজো আবে ছিলেন জাপানের যুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ছিলেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ।
২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিতে বড় প্রভাব ছিল আবের। এই দলের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিনজো আবে ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালে তিনি প্রথবারের মতো এই পদে নিযুক্ত হন। ২০১২ সালে তিনি আবারও নির্বাচিত হন। তার বাবা ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া তার এক দাদা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
অ্যাবের মৃত্যুতে বিশ্বের বিশিষ্ট নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার গুলির ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য হামলা’ বলে নিন্দা জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদাকে ফোন করে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সমবেদনা জানিয়েছেন।
তিনি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘জাপানের ট্র্যাজেডি’ বলেও মন্তব্য করেন।