বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ বাজিগরদের বোকা বানাতে নকল আইপিএল

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২২ ১২:২৯

রুশ বাজিগরদের বোকা বানাতে ভারতের রাজস্থানের কয়েকজন ব্যক্তি পুরো আইপিএল টুর্নামেন্ট নকল করে ইউটিউবে ভিডিও সম্প্রচার করত। এ জন্য তারা ২১ জন শ্রমিককেও ভাড়া করেছিল। প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি ম্যাচে ৪০০ রুপি করে দেয়া হতো। যদিও রাজস্থান পুলিশ বলছে, এই ঘটনার আসল মাস্টার মাইন্ড রাশিয়ায়।

ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট আইপিএল শুধু ভারতেই নয়, সারাবিশ্বেই জনপ্রিয়। শুধু ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যই আইপিএল আকর্ষণীয় টুর্নামেন্ট নয়, বাজিগরদের জন্যও আইপিএল একটি ভালো সুযোগ।

কিন্তু এবার আইপিএল নিয়ে ঘটল সবচেয়ে ব্যতিক্রম জালিয়াতি।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ বাজিগরদের বোকা বানাতে ভারতের রাজস্থানের কয়েকজন ব্যক্তি পুরো আইপিএল টুর্নামেন্ট নকল করে ইউটিউবে ভিডিও সম্প্রচার করত। এ জন্য তারা ২১ জন শ্রমিককেও ভাড়া করেছিল। প্রত্যেক শ্রমিককে প্রতি ম্যাচে ৪০০ রুপি করে দেয়া হতো।

সেসব খেলায় আম্পায়ার থাকতেন। টেলিভিশন স্ক্রিনের মতো প্রচার করা হতো। এমনকি ইন্টারনেট থেকে ক্রাউড নয়েজের সাউন্ড যুক্ত করা হতো দর্শকদের উপস্থিতির বিষয়টি বোঝাতে। বিখ্যাত ধারা ভাষ্যকার হার্শা ভোগলের কণ্ঠস্বরেও নকল ধারাভাষ্য প্রচার করা হতো।

তবে ভিডিওর ফোকাস পিচকেন্দ্রিকই থাকত। ভাড়া করা শ্রমিকরা আইপিএল খেলোয়াড়দের পোশাক, বিশেষ করে চেন্নাই সুপার কিংস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং গুজরাট টাইটান্সের পোশাক পরে ক্রিকেট খেলত।

এই ঘটনার মূল হোতা শোয়েব দাভদাসহ ৪ জনকে এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশের আটকের আগেই এই ফেইক টুর্নামেন্ট পৌঁছে গিয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে।

রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, প্রকৃত আইপিএল মে মাসে শেষ হওয়ার ৩ সপ্তাহ পরে এই নকল টুর্নামেন্ট শুরু হয়।

পুলিশ বলছে, অভিযুক্তরা প্রকৃত ক্রিকেট পিচই তৈরি করেছে, এ ছাড়া মাঠে স্থাপন করেছে উচ্চ রেজ্যুলেশনের ক্যামেরা। লাইভ স্ট্রিমিংয়ে স্কোর প্রদর্শনের জন্য কম্পিউটার গ্রাফিক্স ব্যবহার করেছে তারা।

তবে পুলিশ বলছে, এই পুরো পরিকল্পনার মাস্টার মাইন্ড রাশিয়ার কেউ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা কেবল নকল টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে নির্দেশ পালন করেছে। অভিযুক্তরা রাশিয়ার মাস্টারমাইন্ডের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা পেয়েছিল।

রুশ বাজিগরদের রুবলে বাজি ধরার জন্য প্রলুব্ধ করা হতো একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে। বাজির আলোকে তারা ওয়াকিটকিতে থাকা আম্পায়ারকে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দিত, সেই অনুযায়ী তিনি আউট দিতেন কিংবা ব্যাটসম্যানকে চার অথবা ছয় মারতে বলতেন।

ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে বার্তা সংস্থা এএফপির অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর