জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের হত্যার ঘটনার পর দেশটির পুলিশ স্বীকার করেছে, তার নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল।
গত শুক্রবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর নারায় এক নির্বাচনি সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় গুলি করে হত্যা করা হয় আবেকে।
নারা পুলিশের প্রধান তোমোয়াকি ওনিজুকা বলেন, ‘এটা অনস্বীকার্য যে, নিরাপত্তায় ত্রুটি ছিল।’
নির্বাচনি সভায় প্রকাশ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এক বন্দুকধারী গুলি করে হত্যার ঘটনায় হতবাক হয়ে গেছে জাপানের লোকজন।
সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। তিনি নির্দিষ্ট একটি সংস্থার প্রতি ক্ষোভ থেকে এ কাজ ঘটিয়েছে বলেও জানায় পুলিশ। হামলার পরই তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ।
রোববার পরিকল্পনা মতোই উচ্চকক্ষের নির্বাচন হয়েছে। এতে ভোট শুরু হয় স্থানীয় সকাল ৭টায়। আততায়ীর হাতে আবে হত্যার মাত্র দুই দিন পর সেখানে ভোট হচ্ছে।
বুথফেরত সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), যেটায় আবে আগে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং খুবই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব তার দল এবং জুনিয়র জোটের কেমিতো তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে চলেছে।
রয়টার্স জানায়, ফল আসার জন্য দলটির টোকিও প্রধান কার্যালয়ে অপেক্ষার সময় তারা আবের স্মরণে নীরবতা পালন করেন।
জাপানের সংসদের অপেক্ষাকৃত কম ক্ষমতাসম্পন্ন উচ্চকক্ষের নির্বাচনকে সাধারণত বর্তমান সরকারের ওপর গণভোট হিসেবে দেখা হয়। তবে এটিই হতে যাচ্ছে এলডিপির জন্য একটি বড় বিজয়। কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করাসহ তার মূল নীতিগুলোকে এই নির্বাচন আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিতে বড় প্রভাব ছিল আবের। এই দলের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিনজো আবে ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালে তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১২ সালে তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। তার বাবা ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া তার এক দাদা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।