ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অমরনাথ গুহার নিচের অংশে আকস্মিক ভারি বৃষ্টিতে (ক্লাউডব্লাস্ট) এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আছেন কমপক্ষে ৪০ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর পর বেস ক্যাম্পের একটি অংশ আকস্মিক বন্যায় ভেসে যায়।
ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) ঘটনাস্থলে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ করছে। সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার তীর্থযাত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
এনডিআরএফের ডিজি অতুল কারওয়াল বলেছেন, ‘এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৪০ জন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ করা হয়েছে। তারপর বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল ৬টা থেকে ফের উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।’
আইটিবিপি অফিসার বিবেক কুমার পান্ডে বলেন, ‘আপাতত যাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা লোকজনকে ওপরে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। বিকেলে পরিস্থিতি অনেকাংশে স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিলে আমরা যাত্রা পুনরায় শুরু করতে পারব।’শুক্রবার আবহাওয়া দপ্তর জানায়, দক্ষিণ কাশ্মীরের অমরনাথ গুহার কাছে দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়াবিদদের মতে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত গুহার আশপাশের এলাকায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে মন্দিরের পাশের তাঁবু ভেসে গেছে।
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পর গত ৩০ জুন তীর্থযাত্রা শুরু হয়েছিল। তখন থেকে ৭২ হাজারের বেশি পুণ্যার্থী অমরনাথ গুহায় প্রার্থনা করেছেন।
ক্লাউডব্লাস্ট কী
হঠাৎ খুব বৃষ্টিপাত, যা সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ঘটে। বেশির ভাগ ক্লাউডব্লাস্ট বা মেঘ বিস্ফোরণ বজ্রঝড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ঝড়গুলোতে বাতাসের ভয়ংকর রূপ দেখা যায়; যা মাঝে মাঝে ঘনীভূত বৃষ্টির ফোঁটাগুলোকে মাটিতে পড়তে বাধা দেয়।