বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন কে

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ২০:৩৬

নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভার বিদ্রোহের মুখে বৃহস্পতিবার টোরি নেতার পদ ছাড়েন বরিস জনসন। যদিও উত্তরাধিকারী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান ৫৮ বছরের জনসন। তবে টোরিদের পাশাপাশি বিরোধী দল লেবার পার্টি জনসনকে আর সময় দিতে চাচ্ছে না। আবার দ্রুত নতুন নেতা নির্বাচনও সম্ভব না। 

যুক্তরাজ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় পদ ছাড়ার পর, নতুন নেতা খুঁজছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। সিনিয়র ব্যাকবেঞ্চার টম টুগেনধাত এবং অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ইতোমধ্যেই টোরিদের নেতৃত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে তাদের ছাপিয়ে দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, টোরিদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় জেরেমি হান্ট।

নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভার বিদ্রোহের মুখে বৃহস্পতিবার টোরি নেতা হিসেবে ‘জোরপূর্বক’ পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। যদিও উত্তরাধিকারী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে চান ৫৮ বছরের জনসন।

তবে টোরিদের পাশাপাশি বিরোধী দল লেবার পার্টি জনসনকে আর সময় দিতে চাচ্ছে না। আবার দ্রুত নতুন নেতা নির্বাচনও সম্ভব না।

এরই মধ্যে নতুন একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন বরিস জনসন। তিনি জানিয়েছেন, নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত এই মন্ত্রিসভা বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে না।

ব্যাকবেঞ্চ টোরি এমপিদের ১৯২২ সালের কমিটির কোষাধ্যক্ষ স্যার জিওফ্রে ক্লিফটন ব্রাউন বলেছেন, ‘উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব কয়েক সপ্তাহের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।

‘আমাদের এখন এই সত্যটি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে যে বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ততক্ষণ, যতক্ষণ না একজন উত্তরসূরি পাওয়া যায়।’

টোরি নেতৃত্বের দৌড়ের জন্য একটি সময়সূচি আগামী সপ্তাহে নিশ্চিত করা হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেবেন।

এদিকে লেবার পার্টি অবিলম্বে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের হুমকি দিয়েছে। যদিও এতে সফল হওয়ার জন্য কনজারভেটিভদের যথেষ্ট সমর্থনের প্রয়োজন হবে।

লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার অ্যাঞ্জেলা রেনার বলেছেন, ‘আগামী কয়েক মাস ধরে তিনি (জনসন) যেভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছেন, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।’

হান্ট গত মাসে দলীয় আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য টোরি এমপিদের অনুরোধ করেছিলেন। তবে জনসনের পদত্যাগের পর নেতৃত্বের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি হান্ট।

সাবেক স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান্ট ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ নেতৃত্বের জন্য লড়াই করেছিলেন। দলের সদস্যরা সে সময় বেছে নিয়েছিলেন বরিস জনসনকে।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট (বাঁয়ে) ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফাইল ছবি

জনসনের ঘোর সমালোচক, কমন্সের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান তুগেনধাত টোরিদের নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী। তিনি বলছেন, ‘আগে কাজ করেছি সামরিক বাহিনীতে, এখন পার্লামেন্টে। এখন আমি প্রধানমন্ত্রী পদে কাজ করতে চাই।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মিসেস ব্র্যাভারম্যান ইতোমধ্যেই নিশ্চিত করেছেন, দৌড়ে তিনিও আছেন। সাবেক ব্রেক্সিট মন্ত্রী বেকারও লড়াইয়ে থাকার বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

বিবিসি বলছে, সদ্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ এবং পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস টোরিদের নেতৃত্বে দিতে চান। বরিস জনসনের সঙ্গে বিদ্রোহ করে পদত্যাগ করেছিলেন এই দুই নেতা।

কনজারভেটিভ এমপি রেহমান চিশতি এবং জন ব্যারনও থাকছেন নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়ে।

চিশতি বলেন, ‘আমাদের এমন নেতার প্রয়োজন যারা আধুনিক ব্রিটেনকে সর্বোত্তমভাবে প্রতিফলিত করবে। জাতি এখন যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে, সেগুলোর সমাধান দিতে পারবে।’

অন্যদের মধ্যে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস।

আগামীতে এই দৌড়ে আরও নাম যুক্ত হবে, এটা প্রত্যাশিত। তবে সাবেক লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গভ, উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানককসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ টোরি ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, এই দৌড়ে তারা নেই।

এ বিভাগের আরো খবর