বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবের মৃত্যুতে হতবিহ্বল বিশ্ব

  •    
  • ৮ জুলাই, ২০২২ ২০:১০

জাপানে গোলাগুলির ঘটনার হার বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর কারণ, দেশটির কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন। এরপরও এমন হত্যাকাণ্ডে বিস্মিত হয়েছেন বিশ্ববাসী।

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা দেশটির নাগরিকদের পাশাপাশি বিশ্বকেও স্তম্ভিত করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিনজো আবের গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়তে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, জাপানে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ জাপানে বন্দুক নিয়ে হামলার ঘটনা খুব বিরল। দেশটিতে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের কথাও খুব একটা শোনা যায় না।

দেশটিতে গোলাগুলির হার বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর কারণ, দেশটির কঠোর অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন। এরপরও এমন হত্যাকাণ্ডে বিস্মিত হয়েছেন বিশ্ববাসী।

জাপানের নারা শহরে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকালে দলীয় প্রচারাভিযানের সময় গুলি করা হয় আবেকে। গুলিবিদ্ধ আবেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

জাপানে নির্বাচনি প্রচারণায় রাজনীতিবিদরা সাধারণত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন, মানুষের সঙ্গে হাত মেলান। এ কারণেই আবের হামলাকারী তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

ছবিতে দেখা গেছে, ভাষণের জন্য স্টেজে উঠার আগে আবের ঠিক পেছনেই দাঁড়িয়েছিলেন সন্দেহভাজন হামলাকারী।

তবে এই হত্যাকাণ্ডের পর দেশটির চিত্র পুরোপুরি বদলে যাবে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২০২০ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জি সেভেনভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জাপানে বন্দুক হামলায় নিহতের হার সবচেয়ে কম, দশমিক শূন্য তিন শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে ৭ শতাংশ।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে জাপানে গুলিতে নয় জনের মৃত্যু হয়। আর সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৭৪০।

জাপানের শুধু শটগান বিক্রির অনুমোদন আছে। ক্ষুদ্র অস্ত্র (রিভলবার, পিস্তল) রাখা আইনবিরুদ্ধ। এই আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়ার প্রক্রিয়াও বেশ জটিল এবং দীর্ঘ।

ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাউন্সিলের জাপানবিষয়ক পরিচালক ন্যান্সি স্নো বলেন, আবের এই গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা জাপানকে অনেকটা পাল্টে দেবে।

স্নো বলেন, ‘জাপানে গুলি করে হত্যার ঘটনা শুধু বিরল নয়, এটি সাংস্কৃতিকভাবেও সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকের যে সংস্কৃতি আছে, তা জাপানের সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। এ সময়টায় বলার মতো কিছু নেই। আমি আসলে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। ঘটনার তদন্তকারীদের কাছে ইয়ামাগামি জানিয়েছেন, শিনজো আবের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তার। এজন্য হাতে তৈরি বন্দুক নিয়ে আবেকে গুলি করেন তিনি।

জাপান মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তা ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামি। তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর ওই পদে ছিলেন।

৬৭ বছর বয়সী হাসপাতালে মারা যাওয়া আবে দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

বিবিসি বলছে, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিতে বড় প্রভাব ছিল আবের। এই দলের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিনজো আবে ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালে তিনি প্রথবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১২ সালে তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হন। তার বাবা ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া তার এক দাদা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর