জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের গুলিতে নিহতের ঘটনায় একজন সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। ঘটনার তদন্তকারীদের কাছে ইয়ামাগামি জানিয়েছেন, শিনজো আবের প্রতি তার ক্ষোভ ছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল তার। এজন্য হাতে তৈরি বন্দুক নিয়ে আবেকে গুলি করেন তিনি।
জাপান মেরিটাইম সেলফ ডিফেন্স ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তা ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামি। তিনি ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিন বছর ওই পদে ছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারা শহরে শুক্রবার নির্বাচনি প্রচারসভায় বক্তব্য দেয়ার সময় আবেকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। ঘটনার পরপর অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।
আগামী রোববার অনুষ্ঠেয় জাপানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অফ কাউন্সিলরসের নির্বাচন সামনে রেখে দেশটিতে চলছে প্রচার। সে প্রচারের অংশ হিসেবে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইয়ামাতো সাইদাইজি স্টেশনের সামনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন আবে। সে সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
পুলিশ এর পরেই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করে।
ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, আবেকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়া হয়। এরপরই নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ধূসর টি-শার্ট পরা সন্দেহভাজনকে চেপে ধরতে দেখা যায়।
৬৭ বছর বয়সী হাসপাতালে মারা যাওয়া আবে দীর্ঘ সময় ধরে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বিবিসি বলছে, ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও জাপানের ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির রাজনীতিতে বড় প্রভাব ছিল আবের। এই দলের বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিনজো আবে ছিলেন সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। ২০০৬ সালে তিনি প্রথবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১২ সালে তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হন।তার বাবা ছিলেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া তার এক দাদা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।