বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ইন্টারনেট বন্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসে ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। লন্ডনের ওয়েবসাইট ‘টপ টেনভিপিএন’-এর সর্বশেষ রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য।
‘টপ টেন ভিপিএন' হলো একটি নেতৃস্থানীয় ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক পর্যালোচনা ওয়েবসাইট। সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের প্রথম ৬ মাসের ক্ষতি পুরো ২০২১ সালের ক্ষতির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।
সংস্থাটি ১৬টি দেশজুড়ে প্রধান শাটডাউন তালিকাভুক্ত করেছে, যার ক্ষতির পরিমাণ ১০.৬ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালে ৫০টি বড় শাটডাউনে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫.৪৫ বিলিয়ন ডলার। রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২২ সালে ইন্টারনেট শাটডাউনের ক্ষেত্রে ১৬টি দেশের মধ্যে ৬ নম্বর স্থানে আছে। চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে ভারতে ৫৩৫ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল সরকারি নির্দেশে, যার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭৯.৫ মিলিয়ন ডলার।
ইন্টারনেট শাটডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৭ জন।
প্রতিবেদনে তিন ধরনের শাটডাউন উল্লেখ করা হয়েছে: ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, সোশ্যাল মিডিয়া শাটডাউন এবং গুরুতর কণ্ঠরোধ করা, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র ভয়েস কল এবং টেক্সট বার্তা প্রেরণ করতে সক্ষম।
চলতি বছর সারা বিশ্বে ১০.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সবচেয়ে বড় অংশ রাশিয়ার, যেখানে ইন্টারনেট বন্ধ করার জন্য ৮.৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সীমিত করার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে ইন্টারনেট শাটডাউন শুরু হয়।
সুদান, সিরিয়া এবং আলজেরিয়ায় সরকার শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় জালিয়াতি বন্ধ করতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়।
২০২২ সালে প্রথম ৬ মাসে ভারত ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও, ২০২১-এ তৃতীয়, ২০২০-এ প্রথম এবং ২০১৯-এ তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের ক্ষেত্রে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার ক্ষেত্রে ভারতের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল ২০২০ সাল। সে বছর ৮ হাজার ৯২৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ ছিল সরকারি নির্দেশে।
ওই বছর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ২.৮ বিলিয়ন ডলার। তখন ১০.৩ মিলিয়ন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিশ্বে তখন ভারত ছিল এক নম্বরে।