বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্রোহের মুখে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বরিস জনসন

  •    
  • ৭ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫৬

বরিস জনসন বলেন, ‘এটি কনজারভেটিভ এমপিদের ইচ্ছা। তারা একজন নতুন নেতা চাইছেন। ওয়েস্টমিনস্টারও এটি চাইছে। পার্টির নেতৃত্বে থাকার আমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।’

অবশেষে পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। রাজনৈতিক টানাপড়েনে একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগ ও এমপিদের সমর্থন হারানোর পর, পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনসন।

তিনি বলেন, ‘এটি কনজারভেটিভ এমপিদের ইচ্ছা। তারা একজন নতুন নেতা চাইছেন। ওয়েস্টমিনস্টারও এটি চাইছে। পার্টির নেতৃত্বে থাকার আমার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।’

ইতোমধ্যে জনসন একটি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিয়েছেন। এতে লেভেলিং আপ সেক্রেটারি গ্রেগ ক্লার্ক এবং ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর কিট মল্টহাউস।

আগামী সপ্তাহে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে বলেও জানিয়েছেন জনসন।

তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলাম কারণ ব্যক্তিগতভাবে আমি ভোটারদের ম্যান্ডেট দিতে আগ্রহী।

‘কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির প্রধান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলেছি, নতুন নেতা খোঁজার প্রক্রিয়া এখনই শুরু করা উচিত। আগামী সপ্তাহে এ নিয়ে কাজ করার দিন-তারিখ ঠিক করা হবে।’

যেসব মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, সেসব মন্ত্রণালয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার কথাও জানিয়েছেন জনসন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সেরা কাজটি ছেড়ে দেয়ায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। তবে বিষয়টি মেনে নিয়েছি।’

যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে কদিন আগে সরকারে নিয়োগ দিয়েছিলেন জনসন। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল দেখা দিলে গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে এমপিত্ব হারান পিঞ্চার।

প্রধানমন্ত্রী জনসন নিজের ভুলও স্বীকার করেন। জানিয়েছিলেন, পিঞ্চার যে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য নন, তা বুঝতে তার দেরি হয়েছে।

তবে এতেও শেষ রক্ষা হলো না। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

ওয়েলশ সেক্রেটারি সাইমন হার্ট বুধবার পদত্যাগ করেন। এদিন কেবিনেট সভায় বেশির ভাগ এমপি পদ ছাড়ার জন্য জনসনকে চাপ দেন। পরদিন নর্দান আয়ারল্যান্ডের সেক্রেটারি ব্র্যান্ডন লুইস সাইমনকে অনুসরণ করেন।

শুধু নিজ দলেই নয়, বিরোধী লেবার পার্টির তোপের মুখে ছিলেন ৫৮ বছরের এই ব্রিটিশ রাজনীতিক। লেবার পার্টি সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলে তারা পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব তুলবে।

এ বিভাগের আরো খবর