বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারত সরকার টুইটারের দ্বন্দ্ব এবার আদালতে

  •    
  • ৬ জুলাই, ২০২২ ১২:৪৯

আদালতে দাখিল করা আবেদনে টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ব্লকিং আদেশগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি আইনের ৬৯ (ক) এর আলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে ঘাটতিপূর্ণ ও কেন্দ্রের কিছু নির্দেশ পুরোপুরি অযৌক্তিক। সেসবের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছে টুইটার। কারণ কিছু কনটেন্ট ব্লক করলে তা বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন হতে পারে।

ভারত সরকার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের চলমান দ্বন্দ্ব এবার আদালতে গড়িয়েছে। টুইটার ইন্ডিয়া ভারত সরকারের ইলেকট্রনিকস ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে।

কর্ণাটক হাইকোর্টে মঙ্গলবার টুইটার ইন্ডিয়ার দাখিল করা আবেদনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অসম ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ধারা ৬৯ (ক) এর অধীনে জারি করা মন্ত্রণালয়ের বিষয়বস্তু ব্লক করার আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেছে।

আদালতে দাখিল করা আবেদনে টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ব্লকিং আদেশগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি আইনের ৬৯ (ক) এর আলোকে উল্লেখযোগ্যভাবে ঘাটতিপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রেই ব্লক আদেশের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে যে এটি ঠিক কীভাবে ৬৯(ক) ধারায় পড়ে।

এর আগে ২৭ জুন ভারতের ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিতে পাঠানো নতুন এক নোটিশে বলা হয়েছিল, মন্ত্রণালয় থেকে ৬ ও ৯ জুন পাঠানো নোটিশ মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে টুইটার।

নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারের সব শর্ত মানতে হবে টুইটারকে। অন্যথায় ভারতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারাবে। ফলে যাবতীয় পোস্টের জন্য দায় নিতে হবে টুইটারকেই।

ভারত সরকার অভিযোগ করে আসছে, ‘তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ধারা ৬৯-এর অধীনে কিছু বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্মটি থেকে সরিয়ে নেয়ার নোটিশগুলোতে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি।’

ভারতের টুইটারের চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসারকে উদ্দেশ করে দেয়া এক বার্তায় বলা হয়েছিল, ‘যদি টুইটার তথ্য ও প্রযুক্তি আইন লঙ্ঘন করতে থাকে, তাহলে আইনের অধীনেই এর প্রতিক্রিয়া পাবে।’

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যবহারকারী অপরাধমূলক কিংবা অবমাননাকর কোনো কিছু পোস্ট করলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে। সেটা টুইটার, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ যেকোনো প্রতিষ্ঠানই হতে পারে।

এখন পর্যন্ত ভারতে ব্যবসা পরিচালনা করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘মধ্যস্থতাকারী’র সুবিধা পেয়ে এসেছে। বিতর্কিত ও অনৈতিক কোনো পোস্টের দায় সরাসরি প্রতিষ্ঠানের ওপর পড়েনি।

ভারত সরকার এবার জানিয়ে দিয়েছে, এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হতে পারে। ফলে দোষী সাব্যস্ত হলে ৭ বছরের জেল এবং জরিমানা হতে পারে টুইটারের কর্মকর্তাদের।

টুইটারের দাবি, কেন্দ্রের কিছু নির্দেশ পুরোপুরি অযৌক্তিক। সেসবের বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছে টুইটার। কারণ কিছু কনটেন্ট ব্লক করলে তা বাকস্বাধীনতার লঙ্ঘন হতে পারে।

তবে কেন্দ্র থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, টুইটারকে আইন মানতেই হবে।

এর আগে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে টুইটারের অভ্যন্তরীণ কিছু তথ্য প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক অ্যাকাউন্ট ও টুইট ব্লক করতে বলা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ফ্রিডম হাউস, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে কিছু টুইট।

এ বিভাগের আরো খবর