যুক্তরাজ্যে নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত মাসে অনাস্থা ভোটে জয় পেলেও সহসা দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিপদ কাটছে না। এরই মধ্যে মন্ত্রিসভার শীর্ষ দুই মন্ত্রী তার নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে পদত্যাগ করায় নতুন করে চাপে পড়া জনসনের রাজনৈতিক অস্তিত্ব হুমকিতে পড়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ একে অপরের ১০ মিনিটের মধ্যে পদত্যাগ করে জুনিয়র মন্ত্রী ও সহযোগীদের মধ্যে ঝাঁকুনি সৃষ্টি করেছেন।
সমালোচকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রীর জন্য রাজনৈতিক ইতি।
তবে বরিস জনসন এখনও হাল ছাড়ছেন না। তিনি মন্ত্রিসভা রদবদল করে যুক্তরাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি করেছেন।
এরই মধ্যে নাদিম জাহাভিকে নতুন চ্যান্সেলরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীর চিফ অফ স্টাফ স্টিভ বার্কলেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়েছে।
পার্লামেন্টে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
তবে সাজিদ জাভেদ ও ঋষি সুনাক কেউই পদত্যাগের পর প্রকাশ্যে কথা বলেননি। তবে মঙ্গলবারের পদত্যাগপত্রে প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সমালোচনা করা হয়েছে।
তাদের পদত্যাগের আগে বিরোধী লেবার পার্টির পক্ষ থেকে এই দুই মন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে যুক্তরাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাজিদ জাভিদ সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, শীর্ষ নেতৃত্ব জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে না।
অন্যদিকে ঋষি সুনাক বলেছিলেন, জনগণ আশা করেছিল সরকার সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং গুরুত্ব সহকারে পরিচালিত হবে।
এদিকে বরিস জনসনের নিজের দল কনজারভেটিভ (টোরি) এমপি ও প্রাক্তন চিফ হুইপ অ্যান্ড্রু মিচেল বিবিসি নিউজ নাইটকে বলেছেন, জনসনের জন্য এটিই শেষ। আমাদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো চরিত্র বা মেজাজ তার আর নেই।
যদিও টোরি এমপির কেউই এখন পর্যন্ত বরিস জনসনের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেননি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিস ট্রাস জনসনের পাশেই রয়েছেন।