ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ফিল্ডস নামের একটি শপিং মলে এক বন্দুকধারীর হামলায় হতাহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন যুবকের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে কোপেনহেগেনের পুলিশ ইন্সপেক্টর সোরেন থমাসেন বলেন, ‘বন্দুক হামলার পর ২২ বছর বয়সী এক ডেনিশ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্দেহভাজন যুবকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং সোমবার বিচারকের সামনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
থমাসেন বলেন, ‘ওই যুবক পুলিশের সন্দেহভাজনের তালিকায় ছিলেন, তবু খুবই নগণ্য অপরাধী হিসেবে।’
শপিং মলে বন্দুকহাতে সন্দেহভাজন যুবক। ছবি: বিবিসি
বন্দুক হামলায় নিহত তিনজনের মধ্যে একজন ৪০ বছর বয়সী, অন্য দুজন তরুণ। অনেকে আহত হয়েছেন, তবে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।
তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন ওই যুবককে স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার সম্ভাব্য সঙ্গীর সন্ধানে সেখানকার জিল্যান্ড অঞ্চলে রাতভর অভিযান চালানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, তিনি একাই হামলা চালিয়েছিলেন।
হামলার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘ঠিক কী কারণে এমন বন্দুক হামলা চালানো হয়েছে তা বলার এখনও সময় হয়নি।’
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে ফিল্ডস নামে একটি শপিং মলে এক বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
রোববার মাঝরাতে দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় আরও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন।
প্রাণভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নারী-পুরুষদের ছুটে যেতে দেখা গেছে। ছবি: সংগৃহীত
কোপেনহেগেন পুলিশ অপারেশন ইউনিটের প্রধান পুলিশ ইন্সপেক্টর সোরেন থমাসেন বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ইতোমধ্যেই আটক করা হয়েছে। ২২ বছর বয়সী জাতিগত ডেনিশ ওই যুবককে রাজধানীর দক্ষিণ প্রান্তে ফিল্ডস শপিং সেন্টারের কাছ থেকে আটক করা হয়।
সাংবাদিকদের সোরেন বলেন, ‘আমরা জানি সেখানে কয়েকজন নিহত হয়েছেন। অনেকে আহতও হয়েছেন।’
এ ঘটনায় সন্ত্রাসবাদকে উড়িয়ে দেয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এতে আরও মানুষের সম্পৃক্ততা আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মুহূর্তে শহরের কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখা হচ্ছে না। তবে ‘জাতিগতভাবে ডেনিস’ ছাড়া আটক যুবক সম্পর্কে খুব বেশি বিবরণ দেননি সোরেন।
ফিল্ডস শপিং সেন্টারটি কোপেনহেগেনের উপকণ্ঠে অবস্থিত। সাবওয়ে লাইনের বিপরীতে, যা শহরের কেন্দ্রকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
পাশ্চাত্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার তৎপরতা ছাড়াও প্রাণভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে নারী-পুরুষদের ছোটাছুটি করতেও দেখা গেছে।
কোপেনহেগেনের মেয়র সোফি এইচ অ্যান্ডারসেন এক টুইটে লিখেছেন, ‘ফিল্ডসে গুলি চালানোর ভয়ংকর খবর! আমরা এখনও নিশ্চিত নই কতজন আহত বা মারা গেছেন। তবে এটি খুবই গুরুতর।’