বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গর্ভধারণের কোনো চিহ্ন না রেখেও জেস কীভাবে মা?

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২২ ১৬:০৮

ডেভিস বলেন, সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জীবনেরও কিছু পরিবর্তন এসেছে। তবে এটা আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।

কোনো চিহ্নই ছিল না, ছিল না সম্ভাবনাও। তবু ঘটেছে এক বিস্ময়কর ঘটনা। এই পৃথিবীতে এসেছে এক নবজাতক। অথচ যার গর্ভে জন্ম এ শিশুর, সেই তরুণীও জানতেন না রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তার জীবনে।

যুক্তরাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর এমন অভিজ্ঞতা রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। টয়লেটে জন্ম নেয়া শিশুটি নিয়ে রহস্য কূলকিনারায় পৌঁছায়নি এখনও। কীভাবে এ শিশুর জন্ম হলো; মিলছে না তারও ব্যাখ্যা।

সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে ইউনিভার্সিটি সাউদাম্পটনের ওই ছাত্রীর এসব তথ্য জানিয়েছে।

২০ বছর বয়সে পা দেয়ার আগের দিন গত ১১ জুন ছেলে শিশু প্রসব করেন জেস ডেভিস। ব্রিস্টলের এই তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে।

ডেভিস জানিয়েছেন, তিনি যে গর্ভবতী তা তার কখনই মনে হয়নি। রাতে ঘুমানোর আগে তিনি টয়লেটে যান। তিনি ভেবেছিলেন তার হয়তো ঋতুস্রাবের ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। ছিল না গর্ভধারণের কোনো লক্ষণও। তবে আকস্মিকভাবে টয়লেটে বাচ্চা জন্ম দেন।

তার গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ফ্রেডি অলিভার ডেভিস। জন্মের সময় তার ওজন হয়েছিল পাঁচ পাউন্ডের একটু বেশি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জেস ডেভিস বলেন, ‘আমার পিরিয়ড সব সময়ই অনিয়মিত। এ কারণে আমি ব্যাপারটা কখনই লক্ষ করিনি। তবে মাঝে মাঝে বমি বমি ভাব হতো। তবে এর জন্য আমি চিকিৎসা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যখন আমার বাচ্চার জন্ম হলো; জীবনে তখন বড় ধাক্কা খেলাম। আমি ভাবছিলাম, এটা স্বপ্ন। যতক্ষণ না পর্যন্ত তার কান্না শুনিনি, ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝতে পারছিলাম না; আসলে কী ঘটছে।’

প্রথমে খুব হতাশ হয়ে গেলেও এখন তিনি মাতৃত্ব উপভোগ করছেন বলে জানান এই ব্রিটিশ তরুণী। তিনি বলেন, সে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শান্ত শিশু।

ডেভিস জানান, গত জুনে তিনি যখন ব্যথা অনুভব করেন, ভেবেছিলেন এই ব্যথা হয়তো পিরিয়ডের। এ সময় তিনি একটা গরম পানির বোতল কিনে ব্যথা উপশমে ব্যবহার করেন।

মা হওয়ার দিনের বর্ণনা দিয়ে এই তরুণী বলেন, ‘আমি মাত্র বাসায় এসে পরদিনের জন্মদিনের পার্টির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। গোসল করলাম, বাথরুমে গেলাম। এক পর্যায়ে দেখি ব্যথা খারাপের দিকে যাচ্ছে।

‘একপর্যায়ে মনে হলো টয়লেটে যাওয়া দরকার। প্রাকৃতিক কাজের সময়, তখনও আমি ভাবিনি আমি হয়তো সন্তান প্রসব করব। খুব ব্যথা হলো। হঠাৎ বাচ্চা বের হয়ে এলো। কান্না শুনে বুঝতে পারলাম, আসলে কী ঘটেছে।’

এরপর এক বন্ধুর সঙ্গে পরামর্শ করে হাসপাতালে ফোন করেন বলে জানান তিনি। বলেন, পরে প্রিন্স আনি হসপিটালে সন্তানসহ ভর্তি হই।

চিকিৎসকরা বলছেন, ৩৫ সপ্তাহ গর্ভে থেকে জন্মগ্রহণ করেছে এই শিশু। এত নাটকীয় ঘটনা সত্ত্বেও শিশু এবং তার মা সুস্থ আছেন। নাতির জন্মে খুশি হয়েছেন ডেভিসের মা। এ নিয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিতও।

ডেভিস বলেন, এই পৃথিবীতে আমার মা হলো সবচেয়ে ভালো ব্যক্তি; তিনি খুবই সহায়ক। সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে জীবনেরও কিছু পরিবর্তন এসেছে। তবে এটা আমার কাছে স্বাভাবিকই মনে হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর