বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লিসিচানস্ক দখলের দাবি ইউক্রেন রাশিয়া উভয়েরই

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২২ ১০:৪১

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে লিসিচানস্কে ব্যাপক হামলার শিকার হচ্ছে তারা। কিন্তু শহরটি তাদের দখলেই রয়েছে। আর রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছে, তারা সফলভাবে শহরে প্রবেশ করেছে এবং কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে আছে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিসিচানস্ক এখন প্রতিযোগিতার কেন্দ্রে। রাশিয়া ও ইউক্রেন দুই দেশই এ শহর দখলের দাবি করেছে।

রোববার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে লিসিচানস্কে ব্যাপক হামলার শিকার হচ্ছে তারা। কিন্তু শহরটি তাদের দখলেই রয়েছে।

আর রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বলছে, তারা সফলভাবে শহরে প্রবেশ করেছে এবং কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে আছে।

রাশিয়ার গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে শহরের কেন্দ্রে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাশিয়ান সেনাদের কুচকাওয়াজ করার দৃশ্য দেখা গেছে। টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরটির ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রশাসনিক ভবনে রুশ পতাকা উড়ছে।

লিসিচানস্ক ছিল ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া লুহানস্ক অঞ্চলের ভেতরে ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত শেষ শহর। দোনবাস অঞ্চলের একাংশে অবস্থিত এটি।

লুহানস্কের গভর্নর শেরি হাইডা বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা সব দিক থেকে শহরে প্রবেশ করছে। রাশিয়ায় লুহানস্কের রাষ্ট্রদূত রোডিওন মিরশনিক রাশিয়ার এক টেলিভিশনকে বলেছেন, শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে, তবে শহরটি এখনো স্বাধীন নয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।

যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিভাগের আরো খবর