ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। অভিযানের ৪ মাস পর এসে রুশ সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দোনবাসে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে এবং অন্য স্থানগুলো থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। ইউক্রেন বলছে, পিছু হটছে রুশ সেনারা। রাশিয়ার দাবি, পরিকল্পনা মাফিকই চলছে সামরিক অভিযান।
এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনারা অভিযোগ করেছে, কৃষ্ণসাগরের দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ড থেকে সেনা প্রত্যাহারের এক দিন পরই রাশিয়া সেখানে ফসফরাস বোমা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
শুক্রবার টেলিগ্রামে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, রাশিয়ার দুটি সু-৩০ বিমান ক্রিমীয় উপদ্বীপ থেকে উড়ে এসে স্নেক আইল্যান্ডে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করে চলে গেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় স্নেক আইল্যান্ডে এই বোমা হামলা চালানো হয়।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার দ্বীপ থেকে তাদের সরে যাওয়াকে ‘শুভেচ্ছার প্রকাশ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। অর্থাৎ ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি করার জন্য জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় হস্তক্ষেপ করবে না ইউক্রেন।
তবে ফসফরাস বোমা হামলার অভিযোগ এনে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী বলছে, রাশিয়া তাদের নিজেদের ঘোষণাকেও সম্মান জানাতে অক্ষম।
ইউক্রেনীয় সেনারা টেলিগ্রামে এই বিবৃতির সঙ্গে একটি ভিডিও যুক্ত করে দিয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বিমান দ্বীপে অন্তত দুইবার বোমা ফেলছে।
তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধক্ষেত্রে ফসফরাস বোমা ব্যবহারে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও তা নিষিদ্ধ নয়। বেসামরিক মানুষ ও স্থাপনায় এবং এমন কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু যার আশপাশে বেসামরিক স্থাপনা রয়েছে, সেখানে ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ নিষিদ্ধ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
দোনবাসের বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।