বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হংকং প্রশ্নে আপস নয়: চীন

  •    
  • ১ জুলাই, ২০২২ ১৮:৪৯

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশ বা অঞ্চলের কোনো মানুষ কখনই রাজনৈতিক ক্ষমতা এমন শক্তি বা ব্যক্তিদের হাতে যেতে দেবে না যারা নিজেদের দেশকে ভালোবাসে না। এমনকি বিক্রি বা বিশ্বাসঘাতকতাও করে না।’

‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে চীন। ব্রিটিশ শাসন থেকে হংকংয়ের মুক্ত হওয়ার ২৫ বছর পূর্তিতে দেয়া ভাষণে এ কথা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং। ব্রিটেন ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে অঞ্চলটি ছেড়ে দেয়।

কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার হংকং যান শি চিন। দুই বছরের মধ্যে মূল ভূখণ্ডের বাইরে এটি তার প্রথম সফর।

ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই শাসনব্যবস্থা দীর্ঘ সময় ধরে মেনে চলতে হবে। তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বেইজিং। এই নীতি বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে এটি একটি ভালো ব্যবস্থা। এটির পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই।

‘২৫ বছর ধরে হংকংয়ের সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার পাশাপাশি চীনের “মৌলিক স্বার্থ” রক্ষায় কাজ করেছে বেইজিং। এই ব্যবস্থায় হংকংবাসীর সর্বসম্মত অনুমোদন রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই নীতির পক্ষে।’

‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’-এর অধীনে হংকং স্বায়ত্তশাসন পায়। পাশাপাশি বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতাও রয়েছে তাদের। এ ছাড়া মূল ভূখণ্ড চীনে পাওয়া যায় না এমন অন্যান্য অধিকার ভোগ করেন হংকংয়ের বাসিন্দারা।

ব্রিটেন এবং চীনের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’ নীতি প্রণয়ন হয়েছিল, হংকংয়ে আইনে অন্তর্ভুক্ত। চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে ২০৪৭ সালে। তবে চুক্তি শেষে হংকং কী মর্যাদা পাবে তা অনিশ্চিত। যদিও চীন কোনোদিনই চাইবে না অঞ্চলটি হাতছাড়া হোক।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে হংকংয়ের। অঞ্চলটির ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ, বাকস্বাধীনতা ও ভিন্নমতকে দমন করে এমন আইন ও সংস্কার আনে চীন সরকার। এতে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়ে শি চিন সরকার।

হংকংয়ে শুক্রবার চীনের প্রেসিডেন্ট যে ভাষণ দিয়েছেন তাতে এটা স্পষ্ট যে চীন রাজনৈতিক মডেল সংরক্ষণ করতে চায়। তবে কয়েক বছর ধরে হংকংয়ে বড় বিক্ষোভ দেখেছে বিশ্ব। পশ্চিমা দেশগুলোসহ অনেকেই হংকংয়ে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেছে।

ভাষণে শি চিন বলেন, ‘হংকংয়ের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এই নীতি অপরিহার্য। এ নিয়ে কোনো আপস করা উচিত হবে না।

‘পৃথিবীর কোনো দেশ বা অঞ্চলের কোনো মানুষ কখনই রাজনৈতিক ক্ষমতা এমন শক্তি বা ব্যক্তিদের হাতে যেতে দেবে না যারা নিজেদের দেশকে ভালোবাসে না। এমনকি বিক্রি বা বিশ্বাসঘাতকতাও করে না।’

এ বিভাগের আরো খবর