ইউক্রেন ইস্যুতে আরেক দফায় নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে রাশিয়া। অর্থনৈতিক শক্তিধর রাষ্ট্রের জোট জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনে থেকে এলো নতুন নিষেধাজ্ঞা। এবার টার্গেট করা হয়েছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী এবং স্বর্ণকে।
জার্মানিতে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মত হয় জোটের সদস্যরা। এর পরপর নতুন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ ঘোষণা করে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বিবৃতিতে জানায়, সবশেষ এই পদক্ষেপ ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভ্লাদিমির পুতিনের নৃশংস আগ্রাসনে ব্যবহৃত অস্ত্র, প্রযুক্তির বিকাশ ও মোতায়েনে রুশ ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আঘাত।’
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসটেক এবং প্রতিরক্ষা খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত সামরিক ইউনিট এবং কর্মকর্তারা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।
জার্মানিতে জি-সেভেনের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে নেতারা। ছবি: নিউজবাংলা
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশ ভাষাভাষীদের রক্ষায় এই অভিযান। এ ছাড়া ইউক্রেনকে ন্যাটোকে যুক্ত হতে বাধা দেয়া এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।
ইউক্রেন ন্যাটোভুক্ত হলে, রাশিয়ার ঘরের কাছের দেশটিতে সামরিক প্রভাব খাটাবে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট- ন্যাটো। তবে হামলার মুখে আতঙ্কিত না হয়ে ন্যাটো ইস্যুতে অনড় অবস্থানে আছেন কিয়েভ শাসকরা।
পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি রাশিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। এর অন্যতম কারণ পরমাণু অস্ত্র। সংঘর্ষ শুরু হলে, ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে গোটা বিশ্ব।