বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেলারুশকে পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র দেবে রাশিয়া

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২২ ১৩:০২

সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেছেন, প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় সংস্করণেই ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে বেলারুশ। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বেলারুশ। তাই মিনস্কের আশঙ্কা, পশ্চিমাদের সামরিক রোষানলে পড়তে পারে বেলারুশ।

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার জানিয়েছেন, মিত্র দেশ বেলারুশকে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করবে রাশিয়া।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি বলেছেন, প্রচলিত এবং পারমাণবিক উভয় সংস্করণেই ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে বেলারুশ।

লুকাশেঙ্কোর পক্ষ থেকে ন্যাটোর হুমকির বিষয়ে পুতিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রুশ প্রেসিডেন্ট বেলারুশের বিমান বাহিনীর এস-২৫ বিমানকে পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম করতে বলেছেন। একই সঙ্গে পাইলটের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার ওপরও তিনি জোর দিয়েছেন।

এর আগে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের শুরুর দিকে পশ্চিমাদের উদ্দেশে লুকাশেঙ্কো বলেন, 'আপনারা যদি (পশ্চিমারা) আমাদের সীমান্ত ঘেঁষে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়াতে পারমাণবিক বোমা রাখেন। তাহলে আমিও পুতিনের কাছে যাব এবং রাশিয়াকে নিঃশর্তভাবে দেয়া পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ফেরত চাইব।'

১৯৯৪-১৯৯৬ সালের মধ্যে প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্র বেলারুশ, কাজাখস্তান ও ইউক্রেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করে।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বেলারুশ। এমনকি ইউক্রেনের ভূখণ্ডে হামলার ক্ষেত্রেও বেলারুশের ভূমি ব্যবহার করেছে রুশ সেনারা। তাই মিনস্কের আশঙ্কা, পশ্চিমাদের সামরিক রোষানলে পড়তে পারে বেলারুশ।

ইস্কান্দার-এম কী?

ইস্কান্দার-এম হলো রুশ নির্মিত স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে।

জেনস ডিফেন্সের তথ্যানুসারে প্রচলিত ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র, ভ্যাকুয়াম বোমা, বাঙ্কার ব্লাস্টার, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) ওয়ারহেডের পাশাপাশি এটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম।

এই ক্ষেপণাস্ত্র ২০০৮ সালে রাশিয়া ও জর্জিয়ার সংঘর্ষের সময় প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর