ত্রিপুরার টাউন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখলেন মানিক সাহা। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের আশিস সাহাকে ১৭ হাজার ১৮১ ভোটে হারিয়েছেন।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে পদত্যাগ করেন। এরপর মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসায় বিজেপি। নির্বাচিত না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার জন্য ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী তাকে ছয় মাসের মধ্যে ভোটে জিততে হতো।
ভোটের ফলাফলের পর রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে মানিক সাহা বলেন, ‘আমাদের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার প্রতি ভরসা রেখেছে মানুষ । যারা কুৎসা করেছিলেন, এই নির্বাচন তাদের জন্য উপযুক্ত জবাব। এই জয়ের ফলে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আগামী নির্বাচনেও আমাদের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনটিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। একটিতে কংগ্রেস জয় পেয়েছে।
ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। ত্রিপুরার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে আশিস সাহাসহ তার অনুগামীদের নিয়ে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে দেন।
অন্যদিকে যুবরাজনগর এবং সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীরা জয় পান। যুবরাজনগরে বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থীকে চার হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন।
গত ২০ জুন রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রোববার তার গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
চারটি আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ খুবই নগণ্য হলেও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক ত্রিপুরা বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা বিজেপির সন্ত্রাসের জয়। মানুষকে তার ভোট দিতে দেয়া হয়নি। তবে এই রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের লড়াই চলবে।’
ত্রিপুরার উপনির্বাচন ঘিরে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলসহ বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করে। যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দেয়, ত্রিপুরার উপনির্বাচনের ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।