ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বর্তমানে তুরস্ক সফরে আছেন। দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ইস্তাম্বুলে ইসরায়েলিদের ক্ষতি করার এক ইরানি চক্রান্ত বানচাল করতে সাহায্য করার জন্য তুর্কিয়েকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুর্কিয়ে গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুর্কিয়ে কর্তৃপক্ষ লাপিদের সফরের আগে ইসরায়েলিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করার সন্দেহ পাঁচজন ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেছেন, ইসরায়েলিরা ইরানের হুমকির মুখে অলস বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল এবং তুরস্কের মধ্যে নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সহযোগিতার জন্য সম্প্রতি ইসরায়েলি নাগরিকদের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে এবং এই প্রচেষ্টা চলমান আছে।
‘আমরা কেবল ইসরায়েলি পর্যটকদের হত্যার কথাই বলছি না, ইরানি সন্ত্রাসের দ্বারা তুর্কিয়ে সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের কথাও বলছি। আমরা নিশ্চিত তুর্কিয়ে জানে এই বিষয়ে ইরানিদের কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।’
লাপিদ বৃহস্পতিবার তুরস্ক সফরে এসেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে আলোচনা করতে। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থনের কারণে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনাপূর্ণ তা মেরামত করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই সফর।
এদিকে হুরিয়েত পত্রিকা জানিয়েছে, তুর্কিয়ে কর্তৃপক্ষ বুধবার ইস্তাম্বুলে ইসরায়েলি নাগরিকদের ক্ষতি করতে কথিত ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে পাঁচজন ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।
সন্দেহভাজনদের অবস্থান করা বাড়ি ও হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ দুটি পিস্তল এবং দুটি সাইলেন্সার জব্দ করেছে।
তবে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগেই এই মাসের শুরুতেই ইসরায়েল তার নাগরিকদের তুর্কিয়ে ভ্রমণ এড়াতে সতর্কবার্তা জারি করেছিল ও দেশটিতে অবস্থান করা নাগরিকদের তুর্কিয়ে ত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছিল। সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি নাগরিকরা ইরানি হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে।