ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪২।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার সকালে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ওই দুই রাজ্যের প্রধান নদীগুলোতে পানির উচ্চতা আগের চেয়েও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রচুর বৃষ্টির কারণে অনেক স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০ লাখের বেশি মানুষ।
কর্মকর্তারা বলছেন, আসামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসেবে মারা গেছেন আরও আটজন। ৩২টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩০ লাখ মানুষ। পাঁচ জেলায় নদীগুলোতে পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে।
আসামের পানি সম্পদমন্ত্রী পীযুশ হাজারিকা বলেন, পরিস্থিতি খুব কঠিন। আমরা মানুষকে সাহায্যের জন্য জোর চেষ্টা করছি। বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষের কাছে পৌঁছাতে অস্থায়ী সেতু বানানো হয়েছে।
মেঘালয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি। এ রাজ্যে ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুটি জাতীয় সড়ক। চলতি সপ্তাহে বন্যাজনিত কারণে মেঘালয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন না হলে বা কোনো চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির বেশির ভাগ অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। এ শহরেও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
আসামে এক দিনে ৮১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ডের দুই দিন পরই শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে ৯৭২ মিলিমিটার, যা ১৯৯৫ সালের জুন মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে আসামের তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।