বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এককেন্দ্রিক বিশ্বের দিন শেষ: পুতিন

  •    
  • ১৭ জুন, ২০২২ ২৩:০০

পুতিন বলেন, ‘যখন তারা স্নায়ুযুদ্ধে জয় পেয়েছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীতে নিজেদের ঈশ্বরের প্রতিনিধি ঘোষণা করেছিল। তবে নিজেদের স্বার্থ ছাড়া তারা কোনো দায়িত্ব পালন করেনি। আর সেই স্বার্থগুলোকে তারা ‘পবিত্র’ বলে ঘোষণা দেয়। এই একমুখী আচরণ বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে।’

‘এককেন্দ্রিক বিশ্বের দিন শেষ’ বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে শুক্রবার পশ্চিমা দেশগুলোর নিন্দা জানিয়ে এমন মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

পুতিন বলেন, ‘যখন তারা স্নায়ুযুদ্ধে জয় পেয়েছিল, তখন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীতে নিজেদের ঈশ্বরের প্রতিনিধি ঘোষণা করেছিল। তবে নিজেদের স্বার্থ ছাড়া তারা কোনো দায়িত্ব পালন করেনি। আর সেই স্বার্থগুলোকে তারা ‘পবিত্র’ বলে ঘোষণা দেয়। এই একমুখী আচরণ বিশ্বকে অস্থির করে তুলেছে।’

আয়োজনের আগে বড় ধরনের সাইবার হামলা হয় রাশিয়ায়। সে কারণে নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিট পর বক্তব্য দেন ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের (রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই সাইবার হামলার পেছনে কারা, তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ইউক্রেনের আইটি ইউনিট এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

সিএনএনের খবরে বলা হয়, পশ্চিম রাশিয়ান শহরে মঞ্চে আসার পর পুতিন সময় নষ্ট করেননি। সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের আক্রমণ করেছিলেন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন। ছবি: সংগৃহীত

পুতিন বলেন, ‘তারা (পশ্চিমারা) তাদের নিজস্ব বিভ্রমে বাস করে... মনে করে তারা জিতেছে। বাকি সবকিছু উপনিবেশ, পেছনের উঠান। সেখানে বাসকারীরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক।’

এ সময় রাশিয়ার অর্থনীতিকে আঘাত করার চেষ্টা করার জন্য পশ্চিমাদের দোষারোপ করেন পুতিন। মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞাকে ‘পাগলামো’ এবং ‘বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

পুতিন বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমাদের অর্থনীতির লজিস্টিক্যাল চেইন ভেঙে দেয়া, জাতীয় সম্পদ জব্দ করা। জীবনযাত্রার মানকে আঘাত করা। তবে তারা সফল হয়নি। রুশ ব্যবসায়ীরা এক হয়ে কাজ করছেন পরিশ্রম আর আন্তরিকতার সঙ্গে। ধাপে ধাপে কাজ করে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করছি।’

পশ্চিমাদের সঙ্গে ইউক্রেনের কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত অনেক আগেই ছিল পুতিনের। গত সপ্তাহে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউক্রেনে তার লক্ষ্য ‘একটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি’ হিসেবে রাশিয়াকে পুনরুদ্ধার করা।

প্রসঙ্গ যখন ইউক্রেন

ইউক্রেন ইস্যুতে বক্তব্যের সময় পুতিন জানান, তাদের বাধ্য করা হয়েছে প্রতিবেশীর ওপর হামলা চালাতে। এ হামলাকে ‘সার্বভৌম একটি দেশের সিদ্ধান্ত’ বলে জানিয়েছেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করার সিদ্ধান্ত এটি। গণপ্রজাতন্ত্রী ডনবাসের বাসিন্দারা, যারা আট বছর ধরে কিয়েভ শাসন এবং নব্য নাৎসিদের দ্বারা গণহত্যার শিকার হচ্ছেন, তাদের কথা না ভেবে পশ্চিমারা এই অত্যাচারীদের রক্ষার চেষ্টা করছে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন অভিযানের আগে দেশটির পূর্বাঞ্চলের দুটি বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ২০১৪ সাল থেকেই এই দুটি অঞ্চল রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০১৯ সাল থেকে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা রুশ পাসপোর্ট ব্যবহারের অনুমতি পায়।

এই অবস্থানের পক্ষে পুতিনের সাফাই হচ্ছে, ওই দুই অঞ্চলে জাতিগত রাশিয়ান এবং রুশ ভাষাভাষীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছিল।

বক্তব্যে পুতিন আরও বলেন, রুশ সেনা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেখানে ডনবাসে তাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করছে, সেখানে পশ্চিমারা এই লড়াই নিয়ে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে।

ইউরোপীয় কমিশন এর আগে (শুক্রবার সকালে) ইউক্রেন এবং প্রতিবেশী মোল্দাভিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রার্থী হিসেবে সুপারিশ করে। এর কিছু পর ফোরামে দেয়া বক্তব্যে ইইউকে একহাত নেন পুতিন।

তিনি বলেন, ‘ব্লকটি তার সার্বভৌমত্ব হারিয়েছে। ব্লকের অভিজাতরা অন্য কারোর সুরে নাচছে, তারা তাদের জনগণের ক্ষতি করছে। ইউরোপীয়দের এবং ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ উপেক্ষা করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর