যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সৌদি আরবের দূতাবাসের সামনের একটি রাস্তার নাম পরিবর্তন করে সাংবাদিক জামাল খাশোগজির নামে রাখা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীর স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভিন্নমতাবলম্বীদের স্মৃতি ‘ঢেকে রাখা যাবে না’ তা নিশ্চিত করতেই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে জামাল খাশোগজি ওয়ে রাখা হয়েছে।
জামাল খাশোগজি ছিলেন সৌদি আরবের সাংবাদিক। ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি কলাম লিখতেন। সৌদি শাসকদের সমালোচক হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন।
তুরস্কের সৌদি দূতাবাসের ভেতরেই তাকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করা হয়।
শুরুতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে বলা হয়, খাশোগজি দূতাবাস ছেড়ে চলে গেছেন। পরে রিয়াদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের অনুমোদন ছাড়াই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে দুর্বৃত্ত এজেন্টরা।
ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাসের সামনের রাস্তার নাম এখন খাশোগজি ওয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) এই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছেন। তবে যুবরাজ সালমান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে রাশিয়ার দূতাবাস কমপ্লেক্সের বাইরের রাস্তার নাম পরিবর্তন করে বরিস নেমতসভের নামে রাখা হয়। যিনি ২০১৫ সালে ক্রেমলিনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এ সফরকালে দেশটির ক্রাউন প্রিন্স ও কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।
যদিও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার সময় থেকে সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যাকাণ্ডের জন্য সালমানের সমালোচনা করে আসছেন তিনি।