বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেনা নিয়োগে নতুন নিয়মের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত  

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ২০:৫৪

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে আছেন হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। বিক্ষোভকারীরা ধর্মশালাগামী রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টাও করেন। তবে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয় প্রতিবাদকারীদের।

ভারতের সেনাবাহিনীতে নিয়োগের নতুন নীতির প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে বিক্ষোভ। বিহারের পর আট রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলন। হরিয়ানায় একটি ছাত্রাবাসে এক তরুণ আত্মহত্যাও করেছেন। পরিস্থিতি চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার জানান, সেনাবাহিনীর জন্য নতুন একটি প্রকল্প চালু হতে যাচ্ছে। ‘অগ্নিপথ’ নামে ওই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২১ বছরের অন্তত ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে চার বছরের মেয়াদে নিয়োগ দেয়া হবে।

প্রতিবাদে পরদিন বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় ‘অগ্নিপথ’-এর বিরুদ্ধে রোষের অগ্নিবর্ষণ। আন্দোলনকারীদের দাবি, আগের নিয়মেই বাহিনীতে নিয়োগ দিতে হবে।

বিহারের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে অন্তত আট রাজ্যে। পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে বৃহস্পতিবার। বিহার, হরিয়ানা, নয়াদিল্লি, জম্মু এবং ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি অংশে রেল ও সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। আগুন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেক জায়গায়।

‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে লেখা চিঠিতে বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের সাংসদ মানেকা গান্ধীর ছেলে বরুণ জানান, এই প্রকল্প যুব সমাজের মধ্যে হতাশার জন্ম দেবে।

‘চার বছর সেনার কাজ করার পর যাদের বসিয়ে দেয়া হবে, বাকি জীবন তাদের কীভাবে কাটবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে। এখন ১৫ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করার পর অবসর নেয়া সেনাদেরও ভালো চাকরি জুটছে না। সেখানে চার বছর চাকরি করার পর ৭৫ শতাংশকে অবসরে পাঠানো হলে হতাশাই বাড়বে। যুব সমাজের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া পেয়েই আমি ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানেও। হরিয়ানার বিক্ষোভ রাজধানী দিল্লির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। বন্ধ গুরুগ্রামে হরিয়ানা-দিল্লি হাইওয়ে। মহাসড়কটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে আছেন হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। বিক্ষোভকারীরা ধর্মশালাগামী রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টাও করেন। তবে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় তাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয় প্রতিবাদকারীদের।

সেনা নিয়োগে মোদি সরকারের এই নয়া নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের অনেকেই তুলেছেন আপত্তি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিং জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তার মতামত চায়নি। ফলে প্রকল্প সম্পর্কে তিনি আগে থেকে কিছু জানতেন না।

তিনি বলেন, ‘প্রকল্প চালু হলে তখন বোঝা যাবে ভালো-মন্দ। শুনেছি হরিয়ানায় আত্মহত্যা করা তরুণ দুবছর ধরে সেনায় চাকরির চেষ্টা করছিলেন। অগ্নিপথ প্রকল্পের কথা জানার পর হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।’

উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর, আলিগড়, উন্নাও থেকে বিক্ষোভের খবর এসেছে। উত্তাল উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশও।

এই প্রকল্পের পক্ষে সরকারের ভাষ্য, অবসরপ্রাপ্ত সেনারা আধা সেনা, পুলিশ, বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সি এবং যোগ্যতা অনুযায়ী অন্যান্য জায়গায় কাজের সুযোগ পেয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে উত্তরপ্রদেশ ও আসাম সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা পুলিশে এই অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের অগ্রাধিকার দেবে।

এ বিভাগের আরো খবর