ভারতের ছত্তিশগড়ের পিহারিদ গ্রামে শুক্রবার ১০ বছর বয়সী এক বাক- শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু পরিত্যক্ত নলকূপের গর্তে আটকা পড়ে গিয়েছিল। অবশেষে প্রায় ১০০ ঘণ্টার উদ্ধার অভিযানের পর শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ইন্ডিয়া টিভি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০০ জনেরও বেশি জরুরি বিভাগের কর্মী এবং শত শত গ্রামবাসী শিশু রাহুলকে উদ্ধারের জন্য মরিয়া চেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
রাহুল প্রায় ৮০ ফুট গভীরে আটকা পড়েছিল। শুরুতে দড়ি দিয়ে টেনে তোলার চেষ্টা করা হলেও পরে কর্তৃপক্ষ এই পরিকল্পনা বাদ দেয়।
এরপরে সাহায্যের জন্য জাতীয় জরুরি বিভাগ দল ও ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়।
প্রায় ১০০ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকারীরা সমান্তরাল গর্ত খোঁড়ার মাধ্যমে শিশুটিকে বের করে আনে। এই সময়ে গর্তের মধ্যেই তাকে খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়। পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেনও সরবরাহ করা হয়।
বর্তমানে রাহুল বিলাশপুরের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার অবস্থা স্থিতিশীল এবং সে দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সবার আশীর্বাদ ও ঐকান্তিক চেষ্টায় রাহুলকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমি প্রত্যাশা করি, খুব শিগগিরই সে সুস্থ হয়ে উঠবে।
নলকূপে আটকা পড়া শিশু রাহুল সিংয়ের বাবা লালা রাম সাহু পানির জন্য কয়েক দিন আগেই এই নলকূপ খনন শুরু করেছিলেন, কিন্তু সেখান থেকে পানি বের না হওয়ায় তিনি এটি সেভাবেই ফেলে রাখেন।
শুক্রবার দুপুরে খেলতে গিয়ে রাহুল যখন এই নলকূপের গর্তে পড়ে যায় তখন তিনি ও তার স্ত্রী গীতা কাজে ছিলেন।