সামনের বছরেই দেড় শ বছরে পা দিতে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ট্রাম পরিষেবা। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবেশ দূষণ কমাতে ট্রামসেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য পরিবহন সংস্থা নিগম।
নিগমের পরিচালক রাজনবীর সিং বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন হিসেবে ট্রামের বিকল্প নেই।’
ঐতিহ্যবাহী কলকাতার ট্রামকে আবারও স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে কয়েকটি রুটে এরই মধ্যে সমীক্ষা শুরু করেছেন খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ভার্গব মিত্র ও তার সহযোগীরা।
রাজনবীর জানিয়েছেন, সমীক্ষা শেষ হতে ৫-৬ মাস সময় লাগতে পারে। শুধু সেবাই নয়, ট্রাম সংস্থা কীভাবে লাভের মুখ দেখতে পারে তাও খতিয়ে দেখবে সমীক্ষক দল।
এর আগে কলকাতার মেট্রোরেল, রাস্তার নির্মাণকাজ, বাস-অটোর মতো যানবাহন চলাচলের সুবিধার জন্য এবং রাস্তায় গতি বাড়াতে বেশির ভাগ রুটে ট্রাম চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ২০১৬ সালেও ট্রাম রুটের সংখ্যা ছিল ২৫টি। বর্তমানে মাত্র ২টি রুটে ট্রাম চলছে।
কলকাতার মেয়র ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন,দুর্গা পূজার আগেই আবার খিদিরপুর-অ্যাসপ্ল্যানেড, রাজাবাজার-বিধাননগর রুটে ট্রামসেবা চালুর চেষ্টা করছে পরিবহন দপ্তর।
আইআইটি অধ্যাপক ভার্গব মিত্র বলেন, ‘কলকাতার ট্রাম শুধু ঐতিহ্যবাহী নয়, দূষণমুক্ত এবং বাসের থেকেও গণপরিবহনে ট্রামের কার্যকারিতা অনেক বেশি।’
ভারতের প্রথম ও একমাত্র কলকাতার ট্রাম গণপরিবহনে যুক্ত হয় ১৮৭৩ সালে। প্রথমে ঘোড়ায় টানা হলেও ১৯০২ সালে এশিয়ার প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রাম চালু হয় কলকাতায়।
কলকাতা শহরের এই ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে এবং সস্তায় পরিবেশবান্ধব পরিবহন সেবা দিতে রাজ্য পরিবহন দপ্তর দেড় শ বছরের কলকাতার ট্রামকে পুনরায় নতুনভাবে আরও কার্যকর করে শহরের বিভিন্ন রুটে আনতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।