চীন ও পাকিস্তানি কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবাদ ও অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে কাজ করতে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছেন।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে পাকিস্তান ও চীন তাদের কৌশলগত অংশীদারত্ব পুনরায় নিশ্চিত করেছে এবং দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে তথ্য বিনিময় অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার নেতৃত্বে পাকিস্তানের সামরিক প্রতিনিধিদলের চার দিনের বেইজিং সফরে চীনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চুক্তিবিষয়ক আলোচনায় চীনের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান জেনারেল ঝাং ইউক্সিইয়া।
এ ছাড়া দুই দেশের প্রতিনিধিদল আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করেছে। দুই দেশই প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সম্পর্ক জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে।
বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে পাক সেনাপ্রধানকে বেলুচিস্তান অঞ্চলে চীনা নাগরিকদের ওপর হামলা বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে চীনা নাগরিকরা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) ৬০ বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো প্রকল্পে কাজ করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বারবার সিপিইসির সমালোচনা করেছেন। যুক্তি হিসেবে তারা বলেছেন, এই প্রকল্প পাকিস্তানের ওপর চীনা ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেবে।
যদিও পাকিস্তানের শীর্ষ কূটনীতিক পাং চুনসু বলেছিলেন, শত্রু শক্তিগুলো সিপিইসির উন্নয়নের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য ও বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে।
তবে পাকিস্তানের বেলুচ বিদ্রোহীরা বরাবরই গ্যাস পাইপলাইন, বিদ্যুতের ট্রান্সমিটারের মতো সিপিইসির প্রকল্পগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। কারণ তারা চীনকে একটি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মনে করে যারা প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুণ্ঠন করতে চায়।