বেশ কিছুদিন ধরেই খবর ছড়িয়েছে সম্পর্ক উন্নয়নে সৌদি আরবে সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দিনও মোটামুটি ঠিক। তবে এবার নিশ্চিত হওয়া গেল, এ নিয়ে নিশ্চিত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
ডেমোক্রেটিক পার্টির আইন প্রণেতা ও নানা মানবাধিকার গ্রুপের বিরোধিতার মুখে স্থানীয় সময় শনিবার বাইডেন জানিয়েছেন, সৌদিতে যাবেন কি না তা নিয়ে তিনি এখনও সিদ্ধান্ত নেননি।
আল জাজিরা জানায়, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের বাইডেনের সম্ভাব্য সৌদি সফর সম্পর্কে তথ্য দেন। তারা জানান, ইউরোপ-ইসরায়েলের পাশাপাশি জুনে সৌদি সফরে যেতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
অনেক দিন ধরেই বেশ বৈরী হলেও যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কে বড় তিক্ততা আসে মার্কিন নাগরিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে। ওই ঘটনায় সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে জাতিচ্যুত একজন বলে মন্তব্য করেন বাইডেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৌদি প্রিন্স।
এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা চালানো শুরু করলে যখন জ্বালানির দাম বাড়তে থাকে; তখন সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। দুই পক্ষের মধ্যে এই উষ্ণ সম্পর্ক আর তেমন একটা শীতলতায় গড়ায়নি।
এমন প্রেক্ষাপটে বাইডেনের সৌদি সফর অন্য রকম গুরুত্ব বহন করে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে তা নিয়ে ভালোই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বাইডেন প্রশাসনকে।
সৌদির সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফর করবেন কি না- শনিবার মেক্সিকোতে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বাইডেন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেনের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করবে না। তবে সৌদির সঙ্গে সম্পর্ককে পুনর্নির্মাণও গুরুত্বপূর্ণ।