ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা নিয়ে ১৮ জুলাই ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণার পরই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তৎপরতা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী নেতাদের বৈঠক ডেকেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে ১৫ জুন এই বৈঠক হবে।
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রমতে, মমতা ব্যানার্জি বাম দলগুলোসহ প্রধান বিরোধী দলগুলো এবং দেশের সব অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শনিবার চিঠি পাঠিয়েছেন।
যাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কল্বকুন্তলা চন্দ্রশেখর রাও, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান।
বিরোধী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদ যাদব, সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব, এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ার, আরএলডি সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরী, কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ, পিডিপি সভাপতি মেহবুবা মুফতি, শিরোমনি আকালি দল সভাপতি এস সুখবীর সিং বাদল, সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট পবন চামলিং ও আইইউএমএল সভাপতি কে এম কাদের মোহিদিন।
চিঠিতে মমতা লিখেছেন, ‘শক্তিশালী গণতান্ত্রিক জাতির জন্য একটি শক্তিশালী ও কার্যকর বিরোধী দল প্রয়োজন। এদেশের সব প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং বিভাজনকারী শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, যা আজ আমাদেরকে জর্জরিত করছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার দ্বারা বিরোধী নেতাদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং দেশের অভ্যন্তরে তিক্ত বিভেদ তৈরি হচ্ছে। আমাদের প্রতিরোধকে শক্তিশালী করার সময় এসেছে।’
মমতা আরও লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আসন্ন। সব প্রগতিশীল বিরোধী দলের জন্য ভারতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ নিয়ে পুনর্মিলন এবং চিন্তাভাবনা করার উপযুক্ত সুযোগ উপস্থিত৷ এই নির্বাচন স্মরণীয়। কারণ এটি বিধায়কদের গণতন্ত্রের তত্ত্বাবধায়ক আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানকে নির্বাচিত করতে সুযোগ দেয়। এখন এমন একটি সময় যখন আমাদের গণতন্ত্র সংকটময় সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, বিরোধী কণ্ঠের একটি ফলপ্রসূ ঐক্য প্রয়োজন।’