বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নূপুর শর্মা-জিন্দাল-সাবার নামে পুলিশের এফআইআর

  •    
  • ৯ জুন, ২০২২ ১৪:১০

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের পোস্টগুলো ভারতে প্রধান দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে বলে উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।

দিল্লি বিজেপির মিডিয়া ইউনিটের বহিষ্কৃত প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল, সাংবাদিক সাবা নকভি, হিন্দু মহাসভার আধিকারিক পূজা শাকুন পান্ডে, রাজস্থানের মওলানা মুফতি নাদিম এবং পিস পার্টির প্রধান মুখপাত্র শাদাব চৌহানসহ আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।

বুধবার বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে একই ধারার অধীনে দ্বিতীয় এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের পোস্টগুলো ভারতে প্রধান দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে বলে উল্লেখ করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।

নূপুর শর্মা-নবীন জিন্দালের পরে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য এআইএমআইএম প্রধান এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে দিল্লিতে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই এফআইআরটি তার দেয়া উসকানিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে, এটি দিল্লির আইএফএসসি শাখায় নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এর সঙ্গে এই এফআইআরে রয়েছে ইয়েতি নরসিংহানন্দের নাম, যিনি বেশ কিছুদিন ধরেই তার বিতর্কিত ভাষণ দিয়ে চলেছেন। এফআইআর সম্পর্কে দিল্লি পুলিশের তরফে বলা হয়েছে যে যারা ক্রমাগত জনশান্তিবিরোধী বার্তা পোস্ট ও শেয়ার করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনগণকে উসকে দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশনস (আইএফএসও) ইউনিট তাদের পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং ধর্ম সম্পর্কিত আপত্তিকর মন্তব্য পেয়েছে।

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (আইএফএসও) কেপিএস মালহোত্রা বলেছেন, ‘যারা ঘৃণার বার্তা ছড়াচ্ছে, বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছে এবং সর্বজনীন শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক পরিস্থিতি তৈরি করছিল, তাদের বিরুদ্ধে আমরা বেশ কয়েকটি আইপিসি ধারার অধীনে একটি এফআইআর করেছি।’

মালহোত্রা বলেছেন, ‘বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই এফআইআরটি করা হয়েছে এবং সাইবার স্পেসে অশান্তি সৃষ্টি করার অভিপ্রায়ে মিথ্যা এবং ভুল তথ্য প্রচারে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা তদন্ত করবে। এফআইআরে নাম থাকা অন্যরা হলেন আবদুর রহমান, গুলজার আনসারি এবং অনিল কুমার মীনা।

পুলিশ জানিয়েছে, মওলানা মুফতি নাদিম রাজস্থানের বুন্দির বাসিন্দা এবং একটি ভাইরাল ভিডিওতে তাকে দেখানো হয়েছে যেখানে তাকে নবীর বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার হুমকি দিতে শোনা যায়।

সম্প্রতি আলিগড় পুলিশও সোশ্যাল মিডিয়ায় জুমার নামাজের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে হিন্দু মহাসভার পদাধিকারী পূজা শাকুন পান্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। হিন্দু মহাসভার ৪১ বছর বয়সী এই জাতীয় সম্পাদককে ২০১৯ সালে একবার তার স্বামী এবং হিন্দু মহাসভার জাতীয় মুখপাত্র অশোক পান্ডেসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীতে হত্যার পুনর্নির্মাণের অভিযোগে।

এ বিভাগের আরো খবর