জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিবিষয়ক তথ্য জানালে যেকোনো নাগরিককে সর্বোচ্চ এক লাখ উইয়ান বা ১৫ হাজার ডলার নগদ অর্থ পুরস্কার দেবে চীন।
দেশটির নিরাপত্তার প্রতি হুমকি এমন যেকোনো আগাম গুপ্তচরভিত্তিক তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি জনগণের কাছ থেকে জানতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে বেইজিং।
নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের (মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি) ঘোষিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, অর্থ পুরস্কার ১০ হাজার উইয়ান (১,৫০০ ডলার) থেকে ১ লাখ উইয়ান (১৫,০০০ ডলার) হতে পারে।
নাগরিকের দেয়া এমন তথ্য জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষায় যে পরিমাণ ভূমিকা রাখবে তা মূল্যায়ন করেই নির্ধারণ করা হবে পুরস্কারের অর্থ।
জাতীয় নিরাপত্তায় নাগরিকের উদ্দীপনা, সামর্থ্য ও নৈতিকতাকে কাজে লাগাতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
নগদ অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি তথ্যদাতা ওই নাগরিকের নৈতিকতাকে সম্মান জানাতে ‘আধ্যাত্মিক পুরস্কার’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হবে সনদ।
তথ্যদাতা ওই হুইসালব্লোয়ার অনলাইন, মোবাইল ফোন, ডাকযোগে নিজের পরিচয় গোপন রেখেও সরকারকে তথ্য জানাতে পারবেন। তবে পুরস্কার নেয়ার আগে সরকারকে তার ব্যক্তি-পরিচয় জানাতে হবে।
দুজন যদি একই তথ্য দেন সেই ক্ষেত্রে প্রথম তথ্যদাতা হুইসালব্লোয়ার হিসেবে পুরস্কৃত হবেন।
সম্ভাব্য বৈদেশিক শত্রুর গুপ্ত হামলাসহ সব ধরনের আক্রমণ নির্মূলে বেইজিংয়ের নেয়া সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি। ক্ষমতাসীন চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম ন্যাশনাল কংগ্রেসের আগে এমন ঘোষণা দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে তৃতীয় মেয়াদে দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন শি জিনপিং।
দেশটিতে ২০১৫ সাল থেকেই নিরাপত্তা লঙ্ঘন সম্পর্কিত আগাম তথ্যের বিনিময়ে আর্থিক পুরস্কার দেয়ার নিয়ম চালু ছিল। তবে চলতি সপ্তাহে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইস্যু করা নতুন নীতিমালার মাধ্যমে মঙ্গলবার পুরস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়া হয়।