বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিবেশ সুরক্ষায় ভারতের অবস্থান সর্বনিম্ন

  •    
  • ৮ জুন, ২০২২ ১৭:১৪

'এনভায়রনমেন্ট পারফরম্যান্স ইনডেক্স-২০২২ (ইপিআই)’ সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান সর্বনিম্ন। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার (১৭৯), ভিয়েতনাম (১৭৮) ও বাংলাদেশ (১৭৭)।

পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে চলেছে ভারত। পরিবেশ সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত সূচকে দেশটি সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে।

'এনভায়রনমেন্ট পারফরম্যান্স ইনডেক্স-২০২২ (ইপিআই)’ অর্থাৎ পরিবেশগত কর্মক্ষমতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতকে সর্বশেষ স্থান দেয়া হয়েছে। এর আগে ইপিআই-২০২০ এ দেশটির অবস্থান ছিল ১৬৮তম, যেখানে দেশটির স্কোর ছিল ২৭ দশমিক ৬।

একেবারে শেষের দিকে থাকা চারটি দেশের মধ্যে ভারতের ওপরেই রয়েছে মিয়ানমার (১৭৯), ভিয়েতনাম (১৭৮) ও বাংলাদেশ (১৭৭)। ইপিআই প্রতি দুই বছর অন্তর সূচক প্রকাশ করে। এটি পরিবেশে সুরক্ষার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনের ভিত্তিতে প্রতিটি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০০২ সাল থেকে পরিবেশগত কার্যকর ভূমিকা পালনের এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। ইয়েল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল ল’ অ্যান্ড পলিসি এবং কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সায়েন্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় এই সূচক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়। সেগুলো হলো- বাস্তুতন্ত্রের জীবনীশক্তি, স্বাস্থ্য ও জলবায়ু নীতি।

ইপিআই রিপোর্টকে সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি পরিবেশগত ঝুঁকি, বায়ুর গুণমান, পিএম ২ দশমিক ৫ স্ট্যাটাস, শ্বাস-প্রশ্বাস, পানির উৎস, সবুজায়নে বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর দেশের নেতৃত্বের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে।

৪০টি প্যারামিটারে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য দেশগুলোর প্রচেষ্টার ভিত্তিতে ডাটা তৈরি করা হয়েছে। ইপিআই ১৮০টি দেশের কার্যক্ষমতা পরিমাপ করে।

ইপিআইয়ের তথ্য অনুসারে, ভারত আইনের শাসন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারের কার্যকারিতার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে।

ভারতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের উদ্দেশ্য বন রক্ষা করা। সরকার পরিবেশ না বাঁচিয়ে শিল্পকে এগিয়ে নিতে তৎপর। তাই এই সূচকের ফল অবাক করার মতো নয়।

ভারতের পানি নিয়েও ইপিআই প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গত ১০ বছরে ভারত ইপিআইয়ের তালিকায় ধারাবাহিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। অন্যান্য দেশ যখন কয়লা ব্যবহার থেকে সরে আসছে, তখন ভারত কয়লায় নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছে। এ কারণে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ বেড়েছে, যা পরিবেশের জন্য হুমকি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ৫০ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাসের জন্য দায়ী থাকবে।

ইপিআই-২০২২ প্রতিবেদন অনুসারে উচ্চ স্কোরকারী দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও ফিনল্যান্ড।

এ বিভাগের আরো খবর