ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে দাবি করে তা বন্ধ করতে বলেছে কয়েকটি দেশ।
স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ দাবি করা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।
যুদ্ধ করতে গিয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনী ধর্ষণসহ নানা ধরনের সহিংসতা চালাচ্ছে বলে প্রায়ই খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তবে এ তথ্য ঠিক নয় বলে উল্টো দাবি করেছে রাশিয়া।
আলবেনিয়ার আয়োজনে জাতিসংঘের ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, রাশিয়াকে ধর্ষণ, সহিংসতা এগুলো থামাতে হবে। ইউক্রেনের মানুষের ওপর রাশিয়ার এই হামলা বন্ধ করতে হবে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লেস মিশেল যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই অপরাধের শাস্তি পেতেই হবে। সহিংসতার পেছনে দায়ী যারা, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের দূত জেমস কারিউকি বলেন, ধর্ষণ ও যৌন হেনস্তাসহ নানা ধরনের সহিংসতা চলছে ইউক্রেনে। রাশিয়ার সেনাদের দ্বারা এসব ঘটনা ঘটছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।
বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছেন প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।
যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।