নানা কারণে চাপের মুখে থাকা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার দলের মধ্যে হওয়া অনাস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির এই ভোটাভুটিতে তার পক্ষে ভোট পড়েছে ২১১টি। আর বিপক্ষে পড়েছে ১৪৮টি। ফলে আপাতত প্রধানমন্ত্রী পদে থাকছেন তিনি।
কনজারভেটিভ পার্টির ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বেশ কয়েকটি কারণে প্রধানমন্ত্রী জনসন চাপের মুখে ছিলেন, যার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে কোভিড লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রিটে বিধিনিষেধ ভেঙে পার্টি করতে দেয়া।
পক্ষে ৫৯ শতাংশ ভোট পড়ার ফলে আগামী এক বছর বরিসের বিরুদ্ধে দলের মধ্য থেকে কোনো ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।
ভোটে জয়ী হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, খুব ভালো এবং প্রত্যয়ী ফলাফল এসেছে। গণমাধ্যম যেসব বিষয় নিয়ে আমাদের পেছনে লেগে থাকে তা দূরে রাখার একটি সুযোগও এলো।
জনসনের সমর্থক শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাউই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সুন্দরভাবে ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আশা করি, আমরা বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ করব।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হলে তাতে পরাজিত হন তিনি। জনসনের বিরুদ্ধে পড়া ভোট তার বিরুদ্ধে পড়া ভোটের চেয়ে বেশি। ওই ভোটের ছয় মাস পর টেরিজা পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জনসনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা সহজেই দূর হবে না।
পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কতখানি কমেছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় গত শুক্রবার যখন লন্ডনে সেন্ট পলস ক্যাথেড্রালের বাইরে সমবেত জনতা তার প্রতি দুয়ো দুয়ো বলে আওয়াজ তোলে।
কনজারভেটিভ এমপিদের অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর আচরণকে কোনোভাবে সমর্থন করা যায় না। হয় জনসনকে সরিয়ে দিতে হবে, নয়তো আগামী নির্বাচনে জনগণই তাদের সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করবে।