অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে নানা দিকে বিপর্যস্ত পাকিস্তান এবার সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের কাছে হাত পেতেছে। বিপদের এমন দিনে ‘বন্ধুপ্রতিম’ ওই সব দেশ এগিয়ে আসবে বলে আশা দেশটির।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল জিও টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই আর্থিক সহায়তা চাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।সংকট দূর করতে সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্বজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা, তার প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানেও। নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। বেড়েছে ভোজ্যতেল, জ্বালানি, খাদ্যসহ নানা পণ্যের দাম। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে পড়েছে দেশ। ১০-১৫ ঘণ্টার মতো লোডশেডিং হচ্ছে কোথাও কোথাও।
সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশটিতে এমন অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজের জামাকাপড় বিক্রি করে কম দামে মানুষকে আটা খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেন, আগামী ডিসেম্বেরের আগেই সৌদি আরব পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পর্যাপ্ত অর্থ জমা রাখবে বলে আশা করি। বাকিতে তেলও দিতে পারে তারা।
কাতারের কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিস্তিতে প্রাকৃতিক গ্যাস পাওয়ার জন্য কাতারের সঙ্গে কথা বলছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছেও আর্থিক সহায়তা চেয়েছি।
এরই মধ্যে একটি ঋণ নিয়ে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে জানিয়ে পাক অর্থমন্ত্রী বলেন, চীন থেকে দু-তিন দিনের মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ আসছে।
বিভিন্ন নাটকীয়তার পর পাকিস্তানে গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতের অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরান দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী।
পরে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আবার ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎসহ নানা বিষয়ে ইমরান খানের ওপর দায় চাপিয়েছেন তিনি।
দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান। তার সরকারের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত।