বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির হুমকি দিয়েছেন। দিনে দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হলে এই পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সংকট ও এই অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে তিনি এ হুমকি দেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও টিভি।
পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশজুড়ে প্রতিদিনই ১০ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। আপনাদের মিথ্যা কথা শোনার প্রস্তুতি আমার নেই।
‘যাই করেন না কেন, দুই ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং কোনোভাবেই মানা যায় না। কারো চাকরি থাকবে না।’
মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তাদের কোনো ব্যাখ্যা না শুনে বরং জনগণকে এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘লোডশেডিং থেকে জনগণের মুক্তি দরকার। এ বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না।’
সূত্র বলছে, পাকিস্তানজুড়ে এখন ৭২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। তীব্র গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে।
দেশটিতে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ২০ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু প্রয়োজন ২৭ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
লাহোর ও এর মতো শহরগুলোতে দৈনিক লোডশেডিং হচ্ছে ১০ ঘণ্টার মতো। কোথাও কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে ১৫ ঘণ্টারও বেশি। এমন সংকটে বেশ চাপে আছে শাহবাজের সরকার।
বিভিন্ন নাটকীয়তার পর গত ৯ এপ্রিল মধ্যরাতের অনাস্থা ভোটে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রিত্বের অবসান ঘটে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা ইমরান দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী।
পরে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে আবার ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ শরিফ। ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎসহ নানা বিষয়ে ইমরান খানের ওপর দায় চাপিয়েছেন তিনি।
দুর্নীতির দায়ে নওয়াজ শরিফ অভিশংসিত হওয়ার পর ২০১৮ সালে চার দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান। তার সরকারের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত।