যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিতে বন্দুক-সহিংসতা রোধে আইন পাস করার জন্য আইনপ্রণেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্কুলে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৯ শিশু নিহত হওয়ার এক সপ্তাহ পরে জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।
বন্দুক ইস্যুতে বাইডেন বেশ কয়েকটি আইনের প্রস্তাব করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে হামলায় ব্যবহার হতে পারে এমন অস্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা। আর বন্দুক নির্মাতাদের সুরক্ষা আইন অপসারণেরও আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ম্যাগাজিনে সীমা আরোপ করার বিষয়েও মত দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
বন্দুকবিরোধী আইন পাসের আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন
তিনি বক্তৃতায় বলেন, যে শিশুদের আমরা হারিয়েছি তাদের জন্য। যে শিশুদের আমরা বাঁচাতে পারি তাদের জন্য। যে দেশকে আমরা ভালোবাসি তার জন্য। চলুন সময়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। এখনই সময় পদক্ষেপ নেয়ার।
প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন ধারাবাহিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে। নিউ ইয়র্কে বর্ণবিদ্বেষী হামলার পর স্কুলে হামলায় ২১ জন নিহত হয়েছে। সর্বশেষ টুলসার এক হাসপাতালে বন্দুক হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন।
বাইডেন তার বক্তৃতায় বলছেন, যথেষ্ট হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র হত্যাক্ষেত্র হয়ে গেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএ) বলছে, প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব প্রকৃত সমাধান নয়।
এনআরএ একটি শক্তিশালী লবিস্ট গ্রুপ যারা কিছু রাজনীতিবিদকে আর্থিক সমর্থন দিয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার তুলসার একটি হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্বিতীয় বন্দুক হামলার ঘটনা।
এর আগে গত ২৫ মে টেক্সাসে এক বন্দুক হামলায় ২১ জন নিহত হন।
বন্দুকের সহজপ্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে।
সম্প্রতি টেক্সাসের বন্দুক হামলা ছাড়াও এ বছরই নিউ ইয়র্কে এক বর্ণবিদ্বেষী হামলায় ১০ জন নিহত হন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ১৭ জন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে কানেকটিকাটের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ২৬ জন।