ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন যে তার ডেপুটি মনীশ সিসোদিয়াকে ফাঁসানো হচ্ছে এবং সম্ভবত সত্যেন্দ্র জৈনের পরে দিল্লির দ্বিতীয় মন্ত্রী হিসেবে গ্রেপ্তার হতে পারেন মনীশ।
এমন পরিস্থিতিতে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক ভিডিও বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অনুরোধ করছি, আমাদের সবাইকে একসঙ্গে জেলে ঢোকান।’
কেজরিওয়াল দাবি করেছেন, তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে খবর রয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকার মনিশ সিসোদিয়াকে গ্রেপ্তার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো আমাকে জানিয়েছে, মনীশকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে, কেন্দ্র থেকে সব সংস্থাকে তার বিরুদ্ধে জাল মামলা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।’
ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, 'আমাদের সবাইকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করুন, আমাদের তদন্ত করুন। যাতে আমরা কাজে ফিরে যেতে পারি। কারণ আমরা রাজনীতি বুঝি না। আমরা শুধু কাজ করতে চাই।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জেলকে ভয় পাই না, তবে যদি আমরা তদন্তে আটক হতে থাকি। আমরা কীভাবে কাজ করব।'
গত সোমবার গ্রেপ্তার হওয়া সত্যেন্দর জৈনের বিষয়েও জানুয়ারিতে একই রকম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কেজরিওয়াল।
সত্যেন্দর ও মনীশ দুজনই কেজরিওয়ালের রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য। এরই মধ্যে সত্যেন্দর অর্থপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রয়েছেন।
এদিকে ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে রাহুল গান্ধীকে অর্থপাচারের অভিযোগে দেশটির দ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে।
দলের সভানেত্রী ও তার পার্লামেন্ট সদস্য ছেলেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের তলব করাকে কংগ্রেস দেখছে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক যুদ্ধ হিসেবে।
কংগ্রেসের পার্লামেন্ট সদস্য ও আইনজীবী অভিষেক মানু সিংভি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, অর্থপাচারের কোনো প্রমাণ নেই।
ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রিভেন্টিং মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের আওতায় তাদের আর্থিক হিসাব চাওয়া হয়েছে।
এর আগে ইয়ং ইন্ডিয়ান পার্টির মালিকানাধীন ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার একটি আর্থিক অনিয়মের তদন্তের জন্য সম্প্রতি একটি মামলা করা হয়েছে।
এই ইস্যুতে এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা মাল্লিকারজুম খারজ ও পাওয়ান বানসালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।