যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার তুলসার একটি হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্বিতীয় বন্দুক হামলার ঘটনা।
এর আগে গত ২৫ মে টেক্সাসে এক বন্দুক হামলায় ২১ জন নিহত হন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলনে ওকলাহোমা পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন।
তুলসা পুলিশ বিভাগের উপপ্রধান এরিক ডাগলেইশ বলেছেন, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বন্দুকধারী নিজের গুলিতেই মারা গেছে। এ সময় কাছে একটি হ্যান্ডগান রাইফেল ও হ্যান্ডগান ছিল। তিনি দুটি অস্ত্রই একই সঙ্গে ব্যবহার করেছেন কিংবা আলাদা করেও ব্যবহার করে থাকতে পারেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের কিছু পরে সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল ক্যাম্পাসের চিকিৎসকদের অফিস ভবন নাটালি মেডিক্যাল বিল্ডিং থেকে একজন বন্দুকধারীর বিষয়ে ফোন আসে।
পুলিশ কর্মকর্তারা কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং ৫ মিনিটের মধ্যেই ভুক্তভোগী ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন।
ডাগলেইশ জানিয়েছেন, শুরুতেই যেই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন, তারা সেখানে গুলির শব্দ শুনতে পান। গুলির ঘটনাটি সম্ভবত ভবনের দ্বিতীয় তলায় হয়েছিল। যেখানে রয়েছে অর্থপেডিকের অফিস।
এ ঘটনায় কোনো পুলিশ কর্মকর্তা আহত বা নিহত হননি।
বন্দুক হামলায় নিহত ৪ জনের পরিবারকে এরই মধ্যে জানানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশ ক্যাপ্টেন রিচার্ড মেউলেনবার্গ বুধবার রাতে সিএনএনকে বলেছেন, হামলার ঘটনায় ৪ জন নিহত ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, যদিও কারোর আঘাতই গুরুতর বা প্রাণঘাতী নয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্তকারীরা ভবনে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নিচ্ছেন।
হামলার ঘটনায় প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় শহরের মেয়র জি টি বাইনাম দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বন্দুক হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি একটি ভয়ংকর দুঃখজনক ঘটনা।’
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওকলাহোমার বন্দুক হামলার ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবহিত করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
যদিও হামলার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বন্দুকের সহজপ্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে।
সম্প্রতি টেক্সাসের বন্দুক হামলা ছাড়াও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয় ১৭ জন।
২০১২ সালের ডিসেম্বরে কানেকটিকাটের একটি এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয় ২৬ জন।