ভারতের পাঞ্জাবের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, র্যাপার ও কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালা গ্রামের বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। তার গাড়ি তিন দিক থেকে ঘিরে ধরে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
রোববার পাঞ্জাবের মানসায় গুলি করে হত্যা করা হয় সিধুকে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিধুর বন্ধু গুরবিন্দর সিং এবং গুরপ্রীত সিং তার সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন। তবে তারা এই হামলায় বেঁচে যান। গুরবিন্দর সিং গাড়ির পেছনের সিট থেকে হামলার পুরোটা দেখেন।
গুরবিন্দর সিং বলেন, ‘সেদিন বুলেট প্রুফ গাড়িতে বের হয়নি সিধু। মানসা গ্রাম থেকে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলাম আমরা। রাস্তায় আচমকা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তিন দিক থেকে তারা গাড়ি ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি গুলি করে। প্রায় কয়েক রাউন্ড গুলি করে তারা।’
বুলেটের ক্ষত দেখে পুলিশ ধারণা করছে, তিন ধরনের অস্ত্র এই হামলায় ব্যবহার হয়েছে।
সিধু মুসে ওয়ালার আসল নাম শুভদীপ সিং সিধু । তবে তিনি সিধু মুসে ওয়ালা নামেই পরিচিত ছিলেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২৮ বছরের এই তরুণ।
হত্যার ঘটনায় সিধুর বাবা মামলা করেছেন।
সিধুকে হত্যার পেছনে দুই গ্যাংস্টার কলকাঠি নেড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন- নয়াদিল্লির তিহার জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং কানাডার গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। এদের মধ্যে গোল্ডি ব্রার এক ফেসবুক পোস্টে এই হামলার দায় স্বীকারও করে নিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তিহার জেলে বন্দি লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং এবং কানাডার গোল্ডি ব্রার যৌথভাবে সিধুর ওপর হামলা চালিয়েছে।
পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।
এরই মধ্যে সন্দেহভাজন এক জনকে আটক করা হয়েছে উত্তরাখণ্ডে।
পুলিশ জানিয়েছে, হেমকুন্ড সাহিব যাত্রার তীর্থযাত্রীদের মধ্যে লুকিয়ে ছিল সন্দেহভাজন ব্যক্তি। পাঞ্জাব এবং উত্তরাখণ্ড পুলিশের যৌথ দল তাকে আটক করে।
পুলিশ বলছে, আটক সন্দেহভাজন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।