সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করেছে ইসরায়েল। আরব কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে তেল আবিবের এটাই সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি।
কয়েক মাসের আলোচনা শেষে মঙ্গলবার দুবাইয়ে ইসরায়েলের অর্থনীতি ও শিল্পমন্ত্রী ওর্না বারবিভাই ও আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক আল-মারি চুক্তিতে সই করেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের বাণিজ্য কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোরিয়ান বারাক বলেন, ‘চুক্তিতে করের হার, আমদানি এবং বুদ্ধিভিত্তিক সম্পত্তির বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। এতে অনেক ইসরায়েলি কোম্পানিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিশেষ করে দুবাইয়ে অফিস স্থাপনে উৎসাহিত করবে।’
কাউন্সিলের ধারণা, বছরের শেষ নাগাদ কমপক্ষে এক হাজার ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান আমিরাত থেকে দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে ব্যবসা করবে।
বারাক বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজার সুযোগের সম্পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করে না। বড় অঞ্চলকে টার্গেট করতে অন্যসব প্রতিষ্ঠানের মতো দুবাইয়ে সত্যিই প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছে তেল আবিব।’
চুক্তির আগে ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, খাদ্য, কৃষি, প্রসাধনী, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধসহ ৯৬ শতাংশ পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করা হবে।
আমিরাত কর্তৃপক্ষের ধারণা, সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির ফলে আগামি পাঁচ বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হবে।
আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি আল-জাইউদি টুইটে বলেন, ‘এই চুক্তি প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। গোটা অঞ্চলকে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির একটি নতুন যুগের দিকে নিয়ে যাবে।’
ইসরায়েলের অর্থনীতি ও শিল্পমন্ত্রী ওর্না বারবিভাই সোমবার জানিয়েছিলেন, ‘একসঙ্গে আমরা বাধাগুলো দূর করব। ব্যাপক বাণিজ্য এবং নতুন প্রযুক্তির প্রচার করব। এতে আমাদের মধ্যে দৃঢ় ভিত্তি তৈরি হবে, যা নাগরিকদের কল্যাণে অবদান রাখার পাশাপাশি বাণিজ্যকে সহজ করবে।’
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে চলা উত্তেজনার মধ্যেই এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ‘ইসরায়েলি বাহিনীর সুরক্ষায় চরমপন্থী বসতি স্থাপনকারীদের’ নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিতে সম্পর্ক স্থাপন করে। একই বছর বাহরাইন ও মরক্কো স্বীকৃতি দেয় ইসরাইলকে।